০৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সিত্রাংয়ের প্রভাবে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৫৯৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’-এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলায়। গতরাত থেকে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে পদ্মা নদী উত্তাল থাকায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে লঞ্চ ও চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পদ্মা নদী উত্তাল হয়ে ওঠায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পাটুরিয়া লঞ্চঘাট ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী।

বিআইডব্লিউটি’এর নির্দেশে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়। হঠাৎ নৌযান বন্ধে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছে খুলনায়। বইছে দমকা হাওয়া। সময় বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রাণহানি এড়াতে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জনের জন্য ৪০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বরিশালসহ উপকূলীয় এলাকায় গুড়ি গুড়ি ও মাঝারি বৃস্টিপাত শুরু হয়েছে। বন্ধ নৌচলাচল। আতংকিত নদী তীরবর্তী মানুষ। সতর্কতার পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে ৬ জেলা ও ৪০ উপজেলায় ৩ হাজার ৯৭৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে।

৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে। বিভাগে প্রস্তুত রয়েছে ৩২ হাজার ৫শ’ স্বেচ্ছাসেবক। জনগণকে নিরাপদে যাওয়ার জন্য পতাকা উত্তোলন এবং মাইকিং করা হচ্ছে। আতংকে রয়েছেন নদী তীরবর্তি মানুষ।

দুর্যোগ মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ২৬টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। বন্ধ সব ধরনের নৌ চলাচল ও বিদুৎ
সরবরাহ। এতে বিপর্যস্ত জনজীবনে। উপকূলের বাসিন্দাদের সাইক্লোন শেল্টারে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

আইলা, সিডর, আম্পানের পরে আবারও ঘূর্নিঝড়ের খবরে আতংকগ্রস্ত সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ। ষাটের দশকের বেড়িবাঁধের ভঙ্গুর দশায় আবারও প্লাবনের আশংকায় তারা।

ঝিনাইদহে সকাল থেকে সড়ক, মহাসড়কে মানুষের চলাচল কমেছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে কোস্ট গার্ডের সহযোগিতায় লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

বৈরী আবহাওয়ায় জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে ভোলাতেও। সব রুটে নৌ চলাচল বন্ধ। চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগাম আবহাওয়া অফিস ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করেছে।

গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে কক্সবাজারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশানস। ভ্রমণরত পর্যটকদের সতর্ক করতে সৈকতে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে লাল পতাকা। বন্ধ রয়েছে সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল।

নোয়াখালী সমুদ্র বন্দরেও ৭ নম্বর নম্বর সতর্ক সংকেতসহ নদী বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ৪০১টি আশ্রয় কেন্দ্র। উপকূলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকক। পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সিত্রাংয়ের প্রভাবে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’-এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলায়। গতরাত থেকে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে পদ্মা নদী উত্তাল থাকায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে লঞ্চ ও চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পদ্মা নদী উত্তাল হয়ে ওঠায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পাটুরিয়া লঞ্চঘাট ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী।

বিআইডব্লিউটি’এর নির্দেশে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়। হঠাৎ নৌযান বন্ধে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছে খুলনায়। বইছে দমকা হাওয়া। সময় বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রাণহানি এড়াতে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জনের জন্য ৪০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বরিশালসহ উপকূলীয় এলাকায় গুড়ি গুড়ি ও মাঝারি বৃস্টিপাত শুরু হয়েছে। বন্ধ নৌচলাচল। আতংকিত নদী তীরবর্তী মানুষ। সতর্কতার পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে ৬ জেলা ও ৪০ উপজেলায় ৩ হাজার ৯৭৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে।

৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে। বিভাগে প্রস্তুত রয়েছে ৩২ হাজার ৫শ’ স্বেচ্ছাসেবক। জনগণকে নিরাপদে যাওয়ার জন্য পতাকা উত্তোলন এবং মাইকিং করা হচ্ছে। আতংকে রয়েছেন নদী তীরবর্তি মানুষ।

দুর্যোগ মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ২৬টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। বন্ধ সব ধরনের নৌ চলাচল ও বিদুৎ
সরবরাহ। এতে বিপর্যস্ত জনজীবনে। উপকূলের বাসিন্দাদের সাইক্লোন শেল্টারে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

আইলা, সিডর, আম্পানের পরে আবারও ঘূর্নিঝড়ের খবরে আতংকগ্রস্ত সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ। ষাটের দশকের বেড়িবাঁধের ভঙ্গুর দশায় আবারও প্লাবনের আশংকায় তারা।

ঝিনাইদহে সকাল থেকে সড়ক, মহাসড়কে মানুষের চলাচল কমেছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে কোস্ট গার্ডের সহযোগিতায় লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

বৈরী আবহাওয়ায় জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে ভোলাতেও। সব রুটে নৌ চলাচল বন্ধ। চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগাম আবহাওয়া অফিস ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করেছে।

গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে কক্সবাজারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশানস। ভ্রমণরত পর্যটকদের সতর্ক করতে সৈকতে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে লাল পতাকা। বন্ধ রয়েছে সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল।

নোয়াখালী সমুদ্র বন্দরেও ৭ নম্বর নম্বর সতর্ক সংকেতসহ নদী বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ৪০১টি আশ্রয় কেন্দ্র। উপকূলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকক। পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার।