০১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বাড়ানোর দাবী করা হলেও ভাগ্যবদল হচ্ছে না কৃষকের

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
  • / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতি বছরই বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বাড়ানোর দাবী করা হলেও ভাগ্যবদল হচ্ছে না কৃষকের। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বঞ্চিত ও অসন্তুষ্ট জনগোষ্ঠীর নাম- কৃষক। যারা জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষির প্রতি দিন দিনই আগ্রহ হারাচ্ছে তারা। কৃষি যন্ত্রপাতির সম্প্রসারণে সরকার প্রণোদনা দিলেও এর সুফল যাচ্ছে না প্রকৃত চাষীর ঘরে। তাই এখাতে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকায় পকেট ফুলে-ফেঁপে উঠছে কেবল মধ্যস্বত্ত্বভোগী আর আমলাদেরই। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমলাতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার লাগাম টেনে ধরতে না পারলে কৃষিখাতে বরাদ্দ বা ভর্তুকি বাড়িয়ে লাভ হবে না।

করোনার প্রভাবে বড় ধরনের দুর্ভিক্ষের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। খাদ্যসংকটে পড়ে বিশ্বজুড়ে ৩ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা জাতিসংঘের এ সংস্থাটির। যা করোনার মৃত্যুর চেয়েও হবে কয়েক গুণ বেশী। এমন পরিস্থিতিতে দেশের কৃষিখাতকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেটের আকার অনুযায়ী এবার কৃষিখাতে বরাদ্দ মাত্র ৪ শতাংশ বাড়ালেও এজন্য নেই কোনো সংস্কার।

প্রস্তাবিত বাজেটে ভর্তুকি থাকছে আগের মতোই ৯ হাজার কোটি টাকা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভর্তুকির ব্যবহারে বড় কোনো সংস্কার না থাকায় কৃষকের বদলে এর লাভ খাচ্ছে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরাই।

কৃষকের ঘামে ও অর্থে ফলানো প্রধান ফসলের ২ শতাংশও কেনে না সরকার। তারপরও যেটুকু মূল্য-সহায়তা দেয়া হয়, তাও যায় মিলারদের পকেটে। তাই এশিয়ার কৃষি-প্রধান অগ্রসর দেশগুলোর মতো কৃষকের কাছ থেকে অর্ধেক ফসলই সরাসরি সরকারকে কিনে নেয়ার পরামর্শ তাদের।

আমলা পরিচালিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটে ব্যয়ের পরিসর নির্ধারণেও আমলাদের নীতির ওপর নির্ভরশীল সরকার। তাই বছরের পর বছর লোকসানে পাট ও চিনিকলসহ কৃষিভিত্তিক সরকারি শিল্প-কারখানা। অথচ বেশুমার লাভে বেসরকারী খাত।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কৃষি-উপকরণে ভর্তুকির চেয়ে কৃষকের জন্য প্রয়োজন, তার উৎপাদিত কৃষিপণ্যে সরাসরি ভর্তুকি। এজন্য সবার আগে দরকার কৃষিপণ্যের জন্য ‘জাতীয় মূল্য-কমিশন’ গঠন করা। এতে বাড়বে আরো ফসল উৎপাদন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বাড়ানোর দাবী করা হলেও ভাগ্যবদল হচ্ছে না কৃষকের

আপডেট সময় : ০২:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০

প্রতি বছরই বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বাড়ানোর দাবী করা হলেও ভাগ্যবদল হচ্ছে না কৃষকের। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বঞ্চিত ও অসন্তুষ্ট জনগোষ্ঠীর নাম- কৃষক। যারা জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষির প্রতি দিন দিনই আগ্রহ হারাচ্ছে তারা। কৃষি যন্ত্রপাতির সম্প্রসারণে সরকার প্রণোদনা দিলেও এর সুফল যাচ্ছে না প্রকৃত চাষীর ঘরে। তাই এখাতে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকায় পকেট ফুলে-ফেঁপে উঠছে কেবল মধ্যস্বত্ত্বভোগী আর আমলাদেরই। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমলাতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার লাগাম টেনে ধরতে না পারলে কৃষিখাতে বরাদ্দ বা ভর্তুকি বাড়িয়ে লাভ হবে না।

করোনার প্রভাবে বড় ধরনের দুর্ভিক্ষের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। খাদ্যসংকটে পড়ে বিশ্বজুড়ে ৩ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা জাতিসংঘের এ সংস্থাটির। যা করোনার মৃত্যুর চেয়েও হবে কয়েক গুণ বেশী। এমন পরিস্থিতিতে দেশের কৃষিখাতকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেটের আকার অনুযায়ী এবার কৃষিখাতে বরাদ্দ মাত্র ৪ শতাংশ বাড়ালেও এজন্য নেই কোনো সংস্কার।

প্রস্তাবিত বাজেটে ভর্তুকি থাকছে আগের মতোই ৯ হাজার কোটি টাকা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভর্তুকির ব্যবহারে বড় কোনো সংস্কার না থাকায় কৃষকের বদলে এর লাভ খাচ্ছে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরাই।

কৃষকের ঘামে ও অর্থে ফলানো প্রধান ফসলের ২ শতাংশও কেনে না সরকার। তারপরও যেটুকু মূল্য-সহায়তা দেয়া হয়, তাও যায় মিলারদের পকেটে। তাই এশিয়ার কৃষি-প্রধান অগ্রসর দেশগুলোর মতো কৃষকের কাছ থেকে অর্ধেক ফসলই সরাসরি সরকারকে কিনে নেয়ার পরামর্শ তাদের।

আমলা পরিচালিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটে ব্যয়ের পরিসর নির্ধারণেও আমলাদের নীতির ওপর নির্ভরশীল সরকার। তাই বছরের পর বছর লোকসানে পাট ও চিনিকলসহ কৃষিভিত্তিক সরকারি শিল্প-কারখানা। অথচ বেশুমার লাভে বেসরকারী খাত।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কৃষি-উপকরণে ভর্তুকির চেয়ে কৃষকের জন্য প্রয়োজন, তার উৎপাদিত কৃষিপণ্যে সরাসরি ভর্তুকি। এজন্য সবার আগে দরকার কৃষিপণ্যের জন্য ‘জাতীয় মূল্য-কমিশন’ গঠন করা। এতে বাড়বে আরো ফসল উৎপাদন।