ঝিনাইদহ, চাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, রাঙামাটি, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সাভার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুষ্টিয়ায় জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য মৃত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আশপাশের বাড়ী লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রতিনিধিদের তথ্য ও চিত্রে রিফাত হোসেন সবুজের ডেস্ক প্রতিবেদন, জানাচ্ছেন ইলিয়াস হোসেন।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ খাঞ্জাপুরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে একজন মারা গেছে। ৬ দিন ধরে বাড়িতেই চিকিৎসাশেষে তার অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর রাতে সে মারা যায়। তার নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই সাথে বাড়িটিও লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে এক চিকিৎসকসহ ৪ জন। গেল রাতে নারায়ণগঞ্জ ফেরত ওই যুবক শ্বশুর বাড়িতে মারা গেছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গভীর রাতে রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতিতে তার দাফন হয়।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের হাসাদহ গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে মেহেরজান নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ৪ দিন আগে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। মৃতের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ঘটনায় ৪টি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ এলাকায় জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আজিজুর রহমান ইচ্চু নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার ছেলে সম্প্রতি গাজিপুর থেকে বাড়ী ফেরেন। মৃত ব্যক্তিসহ তার পরিবারের সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরিবারটিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সুরভীপাড়া এলাকায় খলিল মিয়া নামে এক ব্যক্তি গেলো রাতে আত্মীয়ের বাসায় মারা গেছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সট : ডাঃ সায়মা আক্তার, মেডিকেল অফিসার, শ্রীমঙ্গল হাসপাতাল।

গোপালগঞ্জে কাশিয়ানীর বুথপাশা গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে সানিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে বাড়ীটি লকডাউন করা হয়েছে।

সাভারের ছায়াবিথী এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সকালে ১২ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো দু’জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো তিনে। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যাওয়া ব্যক্তিটি ছিলেন মালয়েশিয়া-ফেরত।

করোনা উপসর্গে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ময়না খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মিরপুর উপজেলার আমলা মাহদীপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী।