গত ২৪ ঘন্টায় দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদেশ ফেরত দু’হাজার জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আইসোলেশনেও রয়েছেন অনেকে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ রয়েছে মার্কেট ও দোকান।

পাবনায় প্রতিদিনই বাড়ছে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা। পাবনা সিভিল সার্জন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৭৫৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। মানিকগঞ্জে গেল ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩৩ জনসহ ৪৯৯ জন বিদেশ ফেরতকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রবাসীদের ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় ৪৮ জনকে কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে। কুড়িগ্রামে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪ জনসহ বিদেশ ফেরত ৫৪০ জন এর মধ্যে ১৯৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আর, ৯৭ জনের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। ফেনীতে ৭৭৬ প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪২৫০জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৮৩ জনকে রাখা হয়েছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এক পুলিশ সদস্যকে ভর্তি করে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে হাসপাতালে আনা হলে শাররিরীক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত।
এখন পর্যন্ত এ জেলায় বিদেশফেরত ১৫৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১০ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১২৮ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এছাড়া ১৪ দিন পূর্ণ হওয়ায় ৫৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। দিনাজপুরে গেল ২৪ ঘন্টায় আরও ১৭৩ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে।এ নিয়ে জেলার হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে মোট ২৬৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৩ জন।গোপালগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৮৬ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৩৭৩ জন সম্প্রতি ইতালি, চীনসহ ১২টি দেশ থেকে বাড়ি ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লা জেলায় বর্তমানে দু’হাজার ২১ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে গেছেন ৬শ’ ৫৬ জন। ১৪দিন থাকার পর ছাড়া পেয়েছে ২শ’ ১৯ জন। পঞ্চগড়ে গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরও ৫০ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ দিন কাটিয়ে ফেলেছে ১শ’ ৪৩ জন। ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে নতুন করে আরও ১৬জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।এদের মধ্যে সাভারে আট এবং ধামরাইয়ে সাত জন রয়েছেন। এ নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ালো ধামরাইয়ে ৭৯ এবং সাভারে ৩৫জনসহ মোট ১১৪ জন।

বরগুনা জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৯৭ জনের। এখনও রয়েছে ২৩৬ জন। জেলা সদর হাসপাতালে মঙ্গলবার আইসোলেশনে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলায় ৫শ’ ৯৪ জন প্রবাসী ও বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এখন পর্যন্ত আইসোলেনে আছে দু’জন। এছাড়াও গাইবান্ধায় ২৮৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।