১১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

মাঠের ভেতর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৬৬৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাঠের ভেতর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। প্রকল্পের টেন্ডারে অনত্র থেকে মাটি কেনার কথা থাকলেও অস্ত্রের মুখে কেটে নেয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের ফসলি জমি। এভাবেই হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রকল্প নিয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। আর তা বাস্তবায়নে মানুষকে নি:স্ব করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, পর্যালোচনা করেই প্রকল্প নিয়েছেন তারা।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের দৃশ্য এটি। মাঠের মধ্যে করা হয়েছে বিশাল বাধ। বাধের অন্তত একশো মিটার দুরে ছোট্ট একটি খালের অস্তিত্ব আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি এই খাল উপচে বন্যায় প্লাবিত হয় ফসলি জমি। যা রক্ষায় নেয়া হয়েছে সাড়ে ১১ কোটি টাকার বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প। ফুটেজ-১

ফসলি জমি রক্ষার কথা বলে যে প্রকল্প পাস করানো হয়েছে। সেই তিন ফসলি জমি নষ্ট করেই কথিত বাধের মাটির যোগান দেয়া হচ্ছে। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে জমির টপ সয়েল কেটে নেয়ায় বিঘার পর বিঘা জমি এখন অনাবাদি হয়ে পড়েছে। ফুটেজ-১

১০ ফুট চওড়া খাল রক্ষায় ১৪ ফুট উচু ও সমপরিমান চওড়া বেড়িবাঁধ নির্মান করা হচ্ছে। তাও আবার একপাশে। বিশাল এই বাঁধে প্রায় সাড়ে ৫ শো হেক্টর ব্যাক্তিগত জমি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু একটি টাকাও পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা। ফুটেজ-২

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফসলি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ না করার নিয়ম প্রতিটি টেন্ডারে উল্লেখ থাকে। এছাড়া বেড়িবাঁধের ক্ষেত্রে কত দুর থেকে মাটি সংগ্রহ করা যাবে কিভাবে সেই মাটি কাটতে হবে তার একটি নিয়ম রয়েছে। যার কিছুই মানা হয়নি পটিয়ায়। ফুটেজ-১
সট: প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সাবেক চেয়ারম্যান, আইইবি, চট্টগ্রাম।
অভিযোগ রয়েছে, অপ্রয়োজনীয় এই প্রকল্পের নামে লুটপাটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা। যদিও তাদের দাবি সবকিছু বিচার বিবেচনা করেই নেয়া হয়েছে প্রকল্পটি।
বেশ কয়েকটি স্লুইচগেটসহ ২৫ কিলোমিটার লম্বা এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১১’শ ৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে এখন ২০২৬ সালের জুনে শেষ করতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফুটেজ-৪

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাঠের ভেতর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

আপডেট সময় : ১০:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাঠের ভেতর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। প্রকল্পের টেন্ডারে অনত্র থেকে মাটি কেনার কথা থাকলেও অস্ত্রের মুখে কেটে নেয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের ফসলি জমি। এভাবেই হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রকল্প নিয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। আর তা বাস্তবায়নে মানুষকে নি:স্ব করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, পর্যালোচনা করেই প্রকল্প নিয়েছেন তারা।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের দৃশ্য এটি। মাঠের মধ্যে করা হয়েছে বিশাল বাধ। বাধের অন্তত একশো মিটার দুরে ছোট্ট একটি খালের অস্তিত্ব আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি এই খাল উপচে বন্যায় প্লাবিত হয় ফসলি জমি। যা রক্ষায় নেয়া হয়েছে সাড়ে ১১ কোটি টাকার বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প। ফুটেজ-১

ফসলি জমি রক্ষার কথা বলে যে প্রকল্প পাস করানো হয়েছে। সেই তিন ফসলি জমি নষ্ট করেই কথিত বাধের মাটির যোগান দেয়া হচ্ছে। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে জমির টপ সয়েল কেটে নেয়ায় বিঘার পর বিঘা জমি এখন অনাবাদি হয়ে পড়েছে। ফুটেজ-১

১০ ফুট চওড়া খাল রক্ষায় ১৪ ফুট উচু ও সমপরিমান চওড়া বেড়িবাঁধ নির্মান করা হচ্ছে। তাও আবার একপাশে। বিশাল এই বাঁধে প্রায় সাড়ে ৫ শো হেক্টর ব্যাক্তিগত জমি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু একটি টাকাও পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা। ফুটেজ-২

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফসলি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ না করার নিয়ম প্রতিটি টেন্ডারে উল্লেখ থাকে। এছাড়া বেড়িবাঁধের ক্ষেত্রে কত দুর থেকে মাটি সংগ্রহ করা যাবে কিভাবে সেই মাটি কাটতে হবে তার একটি নিয়ম রয়েছে। যার কিছুই মানা হয়নি পটিয়ায়। ফুটেজ-১
সট: প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সাবেক চেয়ারম্যান, আইইবি, চট্টগ্রাম।
অভিযোগ রয়েছে, অপ্রয়োজনীয় এই প্রকল্পের নামে লুটপাটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা। যদিও তাদের দাবি সবকিছু বিচার বিবেচনা করেই নেয়া হয়েছে প্রকল্পটি।
বেশ কয়েকটি স্লুইচগেটসহ ২৫ কিলোমিটার লম্বা এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১১’শ ৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে এখন ২০২৬ সালের জুনে শেষ করতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফুটেজ-৪