০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

৫ মিনিটের পথে ট্যাংক লরি থেকে গায়েব আড়াই’শ লিটার জেট-ফুয়েল

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৬০৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পদ্মা অয়েল কোম্পানীর গুপ্তখাল ডিপো থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের দুরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার। মাত্র ৫ মিনিটের এই পথটুকু পাড়ি দিতেই প্রতিটি ট্যাংক লরি থেকে গায়েব হয়ে যায় কমপক্ষে আড়াই’শ লিটার জেট-ফুয়েল। গেলো ১১ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ধরা পড়লে, শুধু তদন্ত কমিটি করেই দায় এড়ান কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুপ্তখাল ডিপো, এভিয়েশন এমনকি প্রধান কার্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট সম্মিলিতভাবে বিপুল পরিমাণ এই তেল চুরির সাথে জড়িত। তবে এ নিয়ে পদ্মা অয়েলের তিনটি অফিসে ধর্ণা দিয়েও উর্ধতন কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য মেলেনি।

দেশি-বিদেশি ফ্লাইট অপারেটরদের কাছে এককভাবে জ্বালানী বিক্রি করে পদ্মা অয়েল কোম্পানী। প্রতিষ্ঠানটির পতেঙ্গা গুপ্তখাল ডিপো থেকে দেশের সব ক’টি বিমান বন্দরে ট্যাঙ্ক লরির মাধ্যমে নেয়া হয় আমদানী করা জেট ফুয়েল। শুধু চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরেই দৈনিক চাহিদা ৩ লাখ লিটার। যা পরিবহন করা হয় এভাবেই।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে পদ্মা এভিয়েশনের ‍দুটি লড়ি থেকে আড়াইশো লিটার করে তেল কম পাওয়ার ঘটনায় শুরু হয় তোলপাড়। পদ্মা অয়েল কোম্পানীর গুপ্তখাল ডিপো থেকে দুই কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। গুপ্তখাল ডিপো থেকে বের হওয়া প্রতিটি লড়ি থেকেই চুরি হচ্ছে বিমানের মুল্যবান জ্বালানী। যার সত্যতা ধরা পড়ে এসএটিভির ক্যামেরায়।

গুপ্তখাল ডিপো, পদ্মা এভিয়েশন, পরিবহন ঠিকাদার এমনকি প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সিন্ডিকেট এই জেট ফুয়েল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকলেও, তার নেতৃত্ব দেন এভিয়েশনের ম্যানেজার সাইদুল হক ও এজিএম। যদিও এ ব্যপারে কথা বলতে রাজি হননি কেউ।

চুরির ঘটনাটি সামনে এলে এভিয়েশনের ডেপুটি ম্যানেজার শফিউল আজমকে বদলি করার পাশাপাশি দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করার কথা জানায় পদ্মা। কিন্তু তিন মাস কেটে গেলেও সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন কেউ চোখে দেখেনি। এরই মাঝে বদলি হওয়া সেই কর্মকর্তা পেয়েছেন পদোন্নতি। এতে ক্ষুব্ধ টিআইবি।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে একাধিকবার পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ে গেলেও, তিনি কথা বলেননি। সিকিউরিটি গার্ডের মোবাইলে এসএটিভির পরিচয় ও কারণ শুনে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৫ মিনিটের পথে ট্যাংক লরি থেকে গায়েব আড়াই’শ লিটার জেট-ফুয়েল

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

পদ্মা অয়েল কোম্পানীর গুপ্তখাল ডিপো থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের দুরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার। মাত্র ৫ মিনিটের এই পথটুকু পাড়ি দিতেই প্রতিটি ট্যাংক লরি থেকে গায়েব হয়ে যায় কমপক্ষে আড়াই’শ লিটার জেট-ফুয়েল। গেলো ১১ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ধরা পড়লে, শুধু তদন্ত কমিটি করেই দায় এড়ান কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুপ্তখাল ডিপো, এভিয়েশন এমনকি প্রধান কার্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট সম্মিলিতভাবে বিপুল পরিমাণ এই তেল চুরির সাথে জড়িত। তবে এ নিয়ে পদ্মা অয়েলের তিনটি অফিসে ধর্ণা দিয়েও উর্ধতন কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য মেলেনি।

দেশি-বিদেশি ফ্লাইট অপারেটরদের কাছে এককভাবে জ্বালানী বিক্রি করে পদ্মা অয়েল কোম্পানী। প্রতিষ্ঠানটির পতেঙ্গা গুপ্তখাল ডিপো থেকে দেশের সব ক’টি বিমান বন্দরে ট্যাঙ্ক লরির মাধ্যমে নেয়া হয় আমদানী করা জেট ফুয়েল। শুধু চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরেই দৈনিক চাহিদা ৩ লাখ লিটার। যা পরিবহন করা হয় এভাবেই।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে পদ্মা এভিয়েশনের ‍দুটি লড়ি থেকে আড়াইশো লিটার করে তেল কম পাওয়ার ঘটনায় শুরু হয় তোলপাড়। পদ্মা অয়েল কোম্পানীর গুপ্তখাল ডিপো থেকে দুই কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। গুপ্তখাল ডিপো থেকে বের হওয়া প্রতিটি লড়ি থেকেই চুরি হচ্ছে বিমানের মুল্যবান জ্বালানী। যার সত্যতা ধরা পড়ে এসএটিভির ক্যামেরায়।

গুপ্তখাল ডিপো, পদ্মা এভিয়েশন, পরিবহন ঠিকাদার এমনকি প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সিন্ডিকেট এই জেট ফুয়েল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকলেও, তার নেতৃত্ব দেন এভিয়েশনের ম্যানেজার সাইদুল হক ও এজিএম। যদিও এ ব্যপারে কথা বলতে রাজি হননি কেউ।

চুরির ঘটনাটি সামনে এলে এভিয়েশনের ডেপুটি ম্যানেজার শফিউল আজমকে বদলি করার পাশাপাশি দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করার কথা জানায় পদ্মা। কিন্তু তিন মাস কেটে গেলেও সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন কেউ চোখে দেখেনি। এরই মাঝে বদলি হওয়া সেই কর্মকর্তা পেয়েছেন পদোন্নতি। এতে ক্ষুব্ধ টিআইবি।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে একাধিকবার পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ে গেলেও, তিনি কথা বলেননি। সিকিউরিটি গার্ডের মোবাইলে এসএটিভির পরিচয় ও কারণ শুনে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন।