০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ১৭ টি অভিযোগ যাচাই করতে মাঠে নেমেছে দুদক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:২১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৫৭৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে জমি রেজিষ্ট্রি’র টাকা ব্যাংক এ্যাকাউন্টের পরিবর্তে নগদে গ্রহণসহ ১৭ টি অভিযোগ যাচাই বাছাই শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এছাড়া জেলা প্রশাসনের অনাগ্রহে বাজার ফাণ্ডের জমি রেজিষ্ট্রি, অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে স্থবিরতা নেমেছে পিছিয়ে পড়া এই পার্বত্য জেলার ব্যবসা বাণিজ্যে। প্রশাসনের এসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন রাঙ্গামাটির ব্যবসায়ী নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। আর জেলা প্রশাসকের দাবি, নিয়মের বাইরে কোন কিছুই হচ্ছে না রাঙ্গামাটিতে।

ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়ায় এখনো সাব-রেজিষ্ট্রার প্রথা চালু হয়নি পার্বত্য চট্টগ্রামে। তাই এই তিন জেলার বাজার এলাকার জমি বাজার ফাণ্ড ম্যানুয়াল আর অন্য এলাকার জমি মৌজা নিয়মে রেজিষ্ট্রি বা বন্দোবস্ত দেয় জেলা প্রশাসন। এই নিয়মেই রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে জমির মালিকানা পরিবর্তন, এমনকি ভুমির বিপরীতে ঋণ-কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর । কিন্তু গেল প্রায় দুই বছর ধরে এই কার্যক্রম থমকে আছে রাঙ্গামাটিতে। কারণ বাজার ফাণ্ডের আওতাধিন জমি রেজিষ্ট্রি দিচ্ছে না জেলা প্রশাসন।

তবে মৌজা এলাকার পাহাড়ি জমি মুল দামের আড়াই শতাংশ চার্জের বিনিময়ে রেজিষ্ট্রি চলছে রাঙ্গামাটিতে। রেজিষ্ট্রি’র এই টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা নেয়ার নিয়ম থাকলেও এখানে নেয়া হচ্ছে নগদে। এছাড়া উচু-নিচু পাহাড়ি এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সাই জনসাধারণের অন্যতম যোগাযোগমাধ্যম। কিন্ত জেলা প্রশাসনের অনাগ্রহে ২০১৯ সাল থেকে তার রেজিষ্ট্রেশনও বন্ধ রেখেছে বিআরটিএ।

সম্প্রতি এমন ১৭ টি অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসকের দাবি, বাজার ফান্ডের জমির দায়িত্ব তার নয়। আর নগদ টাকা নিয়ে রেজিষ্ট্রি দেয়ার সুযোগও নেই। যদি কোন কর্মকর্তা এমন কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকে তবে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

এছাড়া ডিসি বাংলো পার্কের একটি নির্দিষ্ট এলাকা লিজ নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও জেলা প্রশাসকের হঠকারিতায় টানা এক বছর ধরে তা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন এক নারী উদ্যোক্তা। বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটিতে একাধিক সংবাদ সম্মেলনের পর আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি। কিন্তু ফল পাননি এখনো।

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ১৭ টি অভিযোগ যাচাই করতে মাঠে নেমেছে দুদক

আপডেট সময় : ০৩:২১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে জমি রেজিষ্ট্রি’র টাকা ব্যাংক এ্যাকাউন্টের পরিবর্তে নগদে গ্রহণসহ ১৭ টি অভিযোগ যাচাই বাছাই শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এছাড়া জেলা প্রশাসনের অনাগ্রহে বাজার ফাণ্ডের জমি রেজিষ্ট্রি, অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে স্থবিরতা নেমেছে পিছিয়ে পড়া এই পার্বত্য জেলার ব্যবসা বাণিজ্যে। প্রশাসনের এসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন রাঙ্গামাটির ব্যবসায়ী নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। আর জেলা প্রশাসকের দাবি, নিয়মের বাইরে কোন কিছুই হচ্ছে না রাঙ্গামাটিতে।

ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়ায় এখনো সাব-রেজিষ্ট্রার প্রথা চালু হয়নি পার্বত্য চট্টগ্রামে। তাই এই তিন জেলার বাজার এলাকার জমি বাজার ফাণ্ড ম্যানুয়াল আর অন্য এলাকার জমি মৌজা নিয়মে রেজিষ্ট্রি বা বন্দোবস্ত দেয় জেলা প্রশাসন। এই নিয়মেই রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে জমির মালিকানা পরিবর্তন, এমনকি ভুমির বিপরীতে ঋণ-কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর । কিন্তু গেল প্রায় দুই বছর ধরে এই কার্যক্রম থমকে আছে রাঙ্গামাটিতে। কারণ বাজার ফাণ্ডের আওতাধিন জমি রেজিষ্ট্রি দিচ্ছে না জেলা প্রশাসন।

তবে মৌজা এলাকার পাহাড়ি জমি মুল দামের আড়াই শতাংশ চার্জের বিনিময়ে রেজিষ্ট্রি চলছে রাঙ্গামাটিতে। রেজিষ্ট্রি’র এই টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা নেয়ার নিয়ম থাকলেও এখানে নেয়া হচ্ছে নগদে। এছাড়া উচু-নিচু পাহাড়ি এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সাই জনসাধারণের অন্যতম যোগাযোগমাধ্যম। কিন্ত জেলা প্রশাসনের অনাগ্রহে ২০১৯ সাল থেকে তার রেজিষ্ট্রেশনও বন্ধ রেখেছে বিআরটিএ।

সম্প্রতি এমন ১৭ টি অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসকের দাবি, বাজার ফান্ডের জমির দায়িত্ব তার নয়। আর নগদ টাকা নিয়ে রেজিষ্ট্রি দেয়ার সুযোগও নেই। যদি কোন কর্মকর্তা এমন কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকে তবে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

এছাড়া ডিসি বাংলো পার্কের একটি নির্দিষ্ট এলাকা লিজ নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও জেলা প্রশাসকের হঠকারিতায় টানা এক বছর ধরে তা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন এক নারী উদ্যোক্তা। বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটিতে একাধিক সংবাদ সম্মেলনের পর আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি। কিন্তু ফল পাননি এখনো।