১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ উত্তোলনের সক্ষমতা নেই উদ্ধারকারী চার জাহাজের

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে চলাচলকারী জাহাজ দুর্ঘটনাকবলিত হলে দেশে উদ্ধারকারী চারটি জাহাজ একত্রিত করেও তা উত্তোলন সম্ভব হবে না। চারটি জাহাজ সম্মিলতভাবে সর্বোচ্চ ৬২০ টন ডুবন্ত জাহাজ উত্তোলন করতে পারে। কিন্তু যাত্রীবাহী জাহাজের ওজন তিন থেকে চার হাজার টন। এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এজন্য অধিক উত্তোলন ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ আনার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

গেলো ১৪ ডিসেম্বর কীর্তনখোলা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবে যায় ১২শ’টন ক্লিংকারসহ এমভি হাজী মোহাম্মদ দুদু মিয়া-১ নামের কার্গো। জাহাজটির ওজন ৬শ’টন। পানিসহ ২ হাজার টন ওজনের কার্গোটি উদ্ধার করতে না পেরে, দু’দিন দুর্ঘটনাস্থলে থেকে ফিরে যায় উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিক। ২০১৭ সালের ২২ এপ্রিল বরিশালের চরবাড়িয়া সংলগ্ন কীর্তনখোলায় দুটি নৌযানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই বাল্ক হেড। সেটিও উদ্ধার করা যায়নি। ২০১৪ সালের আগস্টে পদ্মার মাওয়া পয়েন্টে ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চটিও উদ্ধারে ব্যর্থ বিআইডব্লিউটিএ।

বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বৃহৎ জাহাজ দুর্ঘটনাকবলিত হলে কিছুই করার নেই। এজন্য ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ আনার দাবি করেছেন জাহাজ মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের। নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের অসহায়ত্বের বিষয়টি স্বিকার করেন বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ ক্রয়ের চিন্তাভাবনা করছেন।

৬০ টন উত্তোলন ক্ষমতাসম্পন্ন হামজা কেনা হয় ১৯৬৪ সালে আর রুস্তম ১৯৮২ সালে। অর্ধশত বছর পুরনো হামজা আর ৩৭ বছরের পুরনো রুস্তুম এখন অকার্যকর। ২০১২ সালে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উদ্ধাকারী জাহাজ নির্ভীক ও প্রত্যয় এর উত্তোলন ক্ষমতা ২৫০ টন করে। কিন্তু কারিগরি জটিলতায় এ দু’টি জাহাজ একসঙ্গে উদ্ধার কাজ করতে পারে না।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ উত্তোলনের সক্ষমতা নেই উদ্ধারকারী চার জাহাজের

আপডেট সময় : ১১:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে চলাচলকারী জাহাজ দুর্ঘটনাকবলিত হলে দেশে উদ্ধারকারী চারটি জাহাজ একত্রিত করেও তা উত্তোলন সম্ভব হবে না। চারটি জাহাজ সম্মিলতভাবে সর্বোচ্চ ৬২০ টন ডুবন্ত জাহাজ উত্তোলন করতে পারে। কিন্তু যাত্রীবাহী জাহাজের ওজন তিন থেকে চার হাজার টন। এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এজন্য অধিক উত্তোলন ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ আনার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

গেলো ১৪ ডিসেম্বর কীর্তনখোলা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবে যায় ১২শ’টন ক্লিংকারসহ এমভি হাজী মোহাম্মদ দুদু মিয়া-১ নামের কার্গো। জাহাজটির ওজন ৬শ’টন। পানিসহ ২ হাজার টন ওজনের কার্গোটি উদ্ধার করতে না পেরে, দু’দিন দুর্ঘটনাস্থলে থেকে ফিরে যায় উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিক। ২০১৭ সালের ২২ এপ্রিল বরিশালের চরবাড়িয়া সংলগ্ন কীর্তনখোলায় দুটি নৌযানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই বাল্ক হেড। সেটিও উদ্ধার করা যায়নি। ২০১৪ সালের আগস্টে পদ্মার মাওয়া পয়েন্টে ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চটিও উদ্ধারে ব্যর্থ বিআইডব্লিউটিএ।

বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বৃহৎ জাহাজ দুর্ঘটনাকবলিত হলে কিছুই করার নেই। এজন্য ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ আনার দাবি করেছেন জাহাজ মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের। নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের অসহায়ত্বের বিষয়টি স্বিকার করেন বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ ক্রয়ের চিন্তাভাবনা করছেন।

৬০ টন উত্তোলন ক্ষমতাসম্পন্ন হামজা কেনা হয় ১৯৬৪ সালে আর রুস্তম ১৯৮২ সালে। অর্ধশত বছর পুরনো হামজা আর ৩৭ বছরের পুরনো রুস্তুম এখন অকার্যকর। ২০১২ সালে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উদ্ধাকারী জাহাজ নির্ভীক ও প্রত্যয় এর উত্তোলন ক্ষমতা ২৫০ টন করে। কিন্তু কারিগরি জটিলতায় এ দু’টি জাহাজ একসঙ্গে উদ্ধার কাজ করতে পারে না।