দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ৭জনের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৪:২০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী ও গাজীপুর, রংপুর, মানিকগঞ্জ সুনামগঞ্জ ৭জনের মৃত্যু হয়েছে।এঘটনায় মৃতদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মৃতদের বাড়িসহ আশাপাশের কয়েকশত বাড়ি লকডাউন করেছে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চরছাউনী গ্রামের এক কৃষক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা গেছেন। তবে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি-না তা এখনও জানা যায়নি। তার সংস্পর্শে আসা ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে, নাসিরনগর উপজেলায় শ্বাসকষ্টে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার জেঠাগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ওই বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঠান্ডা ও জ্বর উপসর্গ নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ২৮ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম সেলিম। সে কাপাসিয়া উপজেলার উলুসারা গ্রামের সুরুজ্জামান এর ছেলে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, ওই যুবক নারায়ণগঞ্জে কাজ করতেন। ২১ দিন আগে তিনি বাড়িতে ঠান্ডা, কাশি ও জ্বর উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে আসেন। গত রাত একটার দিকে তার মৃত্যু হয়। ইতোমধ্যে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা সর্তকতায় মৃত ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ ও দুই পরিবারকে লকডাউন করেছে। মৃত ব্যাক্তি সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের গোলড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ছমিদের পুত্র আনোয়ার হোসেন বরকন দাজ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, আনোয়ার সকালে মারা গেছে। সর্তকতার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।মৃত ব্যক্তিসহ পাশের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
রংপুরের কাউনিয়ায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক নারী মারা গেছেন। সকালে উপজেলার হারাগাছ ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৩০ বছর বয়সী ওই নারী উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের খানসামা বটতলা এলাকার বাসিন্দা।
হারাগাছ হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, ওই নারী কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার রাত থেকে গলাব্যথা এবং বুধবার সকালে ডায়রিয়া শুরু হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার মৃত্যু হয়।মৃত ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহীর বাঘায় তাবলীগ জামাতের সদস্য আবুল কালাম আজাদ নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। চিল্লা থেকে ফিরে নিজ গ্রামেই একটি মাদ্রাসার কক্ষে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তিনি। এ অবস্থায় সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়ে। গ্রামবাসীর ধারণা, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান জানান, মৃত আবুল কালাম আজাদ ভারত ও পাকিস্তান সফর করে গত বছরের এপ্রিলে ভারত সফর করে ফিরেছেন।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে করোনার উপর্সগ জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক আব্দুস সালাম নামে একজনের মত্যু হয়েছে। সে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের জবুল মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার বিকালে সর্দি,কাশি,শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা নিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে রাত ৮টার দিকে সে মারা যায়। নিহত সালাম ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে চাকুরী করতো। সিভিল সার্জন ডা: সামসুদ্দিন জানান, নিহত গার্মেন্টস শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেই সাথে আশপাশের ৩শ’টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।