জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, গাজীপুর, রংপুর, মানিকগঞ্জ সুনামগঞ্জ ও পাবনায় শিশুসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা শনাক্তে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়িসহ আশাপাশের এলাকা লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জ্বর সর্দি কাশি ও শ্বাস কষ্টে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ওয়ার্ডে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের এক কৃষক। তবে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি-না তা এখনও জানা যায়নি। তার সংস্পর্শে আসা ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে, নাসিরনগর উপজেলায় শ্বাসকষ্টে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার জেঠাগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে তার মৃত্যু হয়। ওই বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সর্দি-জ্বর উপসর্গ নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, ওই যুবক নারায়ণগঞ্জে কাজ করতেন। ২১ দিন আগে তিনি ঠান্ডা, কাশি ও জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসেন। গত রাত একটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কি না সর্তকতায় মৃত ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ ও দুই পরিবারকে লকডাউন করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। আশপাশের সব বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

রংপুরের কাউনিয়ায় সর্দি কাশি শ্বাসকষ্টে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার হারাগাছ ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হারাগাছ হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, ওই নারী কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার রাত থেকে গলাব্যথা এবং বুধবার সকালে ডায়রিয়া শুরু হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার মৃত্যু হয়।মৃত ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহীর বাঘায় তাবলীগ জামাতের সদস্য আবুল কালাম আজাদ নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। চিল্লা থেকে ফিরে নিজ গ্রামেই একটি মাদ্রাসার কক্ষে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তিনি। এ অবস্থায় সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে গার্মেন্টস শ্রমিক আব্দুস সালামের মত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সর্দি,কাশি,শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা নিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে রাত ৮টার দিকে মারা যায় সে । নিহত সালাম ঢাকার একটি গার্মেন্টে কাজ করতো। সিভিল সার্জন ডা: সামসুদ্দিন জানান, নিহত গার্মেন্টস শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেই সাথে আশপাশের ৩শ’টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।