০৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

কিয়েভে নিষিদ্ধ রাশিয়ার গান, সাহিত্য, সংস্কৃতি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩
  • / ১৬২১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাশিয়ার সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘেষণা করলো কিয়েভের সিটি কাউন্সিল। মানবাধিকার সংগঠনের মতে, এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।

ইউক্রেনের এমপিরা বলেছেন, রুশ ভাষা হলো আক্রমণকারীদের ভাষা। তাই কিয়েভে এই ভাষার কোনো স্থান নেই। তারা আগ্রাসনকারীদের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের বাঁচাতে চান। তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করার পর ইউক্রেনে এই দাবি উঠেছিল। তখন অবশ্য এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এবার হলো। জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক, স্থায়ী নয়।

ইউক্রেন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজের তরফে জানানো হয়েছে, ”এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক ও বিভেদ তৈরি করে। এটা কিয়েভের পুর সংস্থার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। একমাত্র ইউক্রেনের পার্লামেন্টই এই ব্যাপারে আইন করতে পারে।”

ইউক্রেনের শিল্পী বেলোরাসেট বলেছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়।

ইউক্রেনকে অস্ত্র কেনার জন্য সাহায্য

রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই এই সাহায্য দিচ্ছে ইইউ। চার বছরে দুই হাজার দুইশ কোটি ডলার দেয়া হবে।

ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত প্রধান জোসেপ বরেল এনিয়ে বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারপর বরেল জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে এবার দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য করা হবে। ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তারা যাতে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

বরেল বলেছেন, ”আমরা প্রতি বছর ইউক্রেনকে পাঁচশ কোটি ডলার দেব। আগামী চার বছর ধরে এই সাহায্য দেয়া হবে। এর ফলে প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যাবে ইউক্রেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে কত খরচ হতে পারে, তা হিসাব করেই এই অর্থসাহায্য করা হচ্ছে।”

ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি জি৭ এবং ন্যাটোর বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। ন্যাটোর বৈঠকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যাতে ভবিষ্যতে এই জোটে ঢুকতে পারে তা দেখা হবে। তবে এখনই ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা হচ্ছে না। শুধু বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ হলো ন্যাটো। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার হতাশার কথা জানিয়েছেন।

তখনই ইউক্রেনকে আরো সামরিক ও অর্থসাহায্য দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সেই কাজটাই করলেন ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এবার ৩১ অগাস্ট ইইউ-র ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলে বিষয়টি নিয়ে আরো বিস্তারিত বিতর্ক হবে। তবে হাঙ্গেরির মতো কিছু দেশ এতে আপত্তি জানাতে পারে।

ডয়চে ভেলে

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কিয়েভে নিষিদ্ধ রাশিয়ার গান, সাহিত্য, সংস্কৃতি

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩

রাশিয়ার সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘেষণা করলো কিয়েভের সিটি কাউন্সিল। মানবাধিকার সংগঠনের মতে, এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।

ইউক্রেনের এমপিরা বলেছেন, রুশ ভাষা হলো আক্রমণকারীদের ভাষা। তাই কিয়েভে এই ভাষার কোনো স্থান নেই। তারা আগ্রাসনকারীদের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের বাঁচাতে চান। তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করার পর ইউক্রেনে এই দাবি উঠেছিল। তখন অবশ্য এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এবার হলো। জানানো হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক, স্থায়ী নয়।

ইউক্রেন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজের তরফে জানানো হয়েছে, ”এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক ও বিভেদ তৈরি করে। এটা কিয়েভের পুর সংস্থার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। একমাত্র ইউক্রেনের পার্লামেন্টই এই ব্যাপারে আইন করতে পারে।”

ইউক্রেনের শিল্পী বেলোরাসেট বলেছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়।

ইউক্রেনকে অস্ত্র কেনার জন্য সাহায্য

রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই এই সাহায্য দিচ্ছে ইইউ। চার বছরে দুই হাজার দুইশ কোটি ডলার দেয়া হবে।

ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত প্রধান জোসেপ বরেল এনিয়ে বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারপর বরেল জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে এবার দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য করা হবে। ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তারা যাতে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

বরেল বলেছেন, ”আমরা প্রতি বছর ইউক্রেনকে পাঁচশ কোটি ডলার দেব। আগামী চার বছর ধরে এই সাহায্য দেয়া হবে। এর ফলে প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যাবে ইউক্রেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে কত খরচ হতে পারে, তা হিসাব করেই এই অর্থসাহায্য করা হচ্ছে।”

ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি জি৭ এবং ন্যাটোর বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। ন্যাটোর বৈঠকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যাতে ভবিষ্যতে এই জোটে ঢুকতে পারে তা দেখা হবে। তবে এখনই ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা হচ্ছে না। শুধু বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ হলো ন্যাটো। এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার হতাশার কথা জানিয়েছেন।

তখনই ইউক্রেনকে আরো সামরিক ও অর্থসাহায্য দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সেই কাজটাই করলেন ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এবার ৩১ অগাস্ট ইইউ-র ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলে বিষয়টি নিয়ে আরো বিস্তারিত বিতর্ক হবে। তবে হাঙ্গেরির মতো কিছু দেশ এতে আপত্তি জানাতে পারে।

ডয়চে ভেলে