০৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

১৭ বছরেও শেষ হয়নি একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক কার্যক্রম

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:০২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৭ বছরেও শেষ হয়নি একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক কার্যক্রম। তিন বছর আগে মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন সাজা এবং অপর ১১ আসামীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত। কারাগারে থাকা ৩১ আসামী রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় শুনানীর জন্য পেপার বুক তৈরি করেছে উচ্চ আদালত। বিদেশ পালিয়ে থাকা আসামীদের দেশে এনে দ্রুত সাজা কার্যকর করা হবে বলে জানান অ্যাটর্নী জেনারেল।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে হরকাতুল জিহাদ। আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন । অল্পের জন্য বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

ওই ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুইটি মামলা হয়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দুটি মামলায় রায় হয়। রায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয় ১১ জনকে।

সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন কারাগারে আছে। ১৭ পলাতক আসামীর মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন, হারিছ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশে আসা যাওয়া করে, সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ সৌদি আরব, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ভাই তাজুল ইসলাম আফ্রিকায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন যুক্তরাষ্ট্র, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক হানিফ থাইল্যান্ড পালিয়ে আছে। আর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলমের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়৷

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা অনুমোদনের জন্য দুটি মামলার রায়ের কপি ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর কারাবন্দী আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ গঠন করে দিলেই শুনানী শুরু হবে জানালেন, অ্যার্টনী জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পালিয়ে থাকা আসামীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের পাশাপশি ফিরে আনতে অবস্থান নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ আইন কর্মকর্তা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

১৭ বছরেও শেষ হয়নি একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক কার্যক্রম

আপডেট সময় : ০৮:০২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

১৭ বছরেও শেষ হয়নি একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক কার্যক্রম। তিন বছর আগে মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন সাজা এবং অপর ১১ আসামীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত। কারাগারে থাকা ৩১ আসামী রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় শুনানীর জন্য পেপার বুক তৈরি করেছে উচ্চ আদালত। বিদেশ পালিয়ে থাকা আসামীদের দেশে এনে দ্রুত সাজা কার্যকর করা হবে বলে জানান অ্যাটর্নী জেনারেল।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে হরকাতুল জিহাদ। আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন । অল্পের জন্য বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

ওই ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুইটি মামলা হয়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দুটি মামলায় রায় হয়। রায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয় ১১ জনকে।

সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন কারাগারে আছে। ১৭ পলাতক আসামীর মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন, হারিছ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশে আসা যাওয়া করে, সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ সৌদি আরব, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ভাই তাজুল ইসলাম আফ্রিকায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন যুক্তরাষ্ট্র, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক হানিফ থাইল্যান্ড পালিয়ে আছে। আর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলমের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়৷

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা অনুমোদনের জন্য দুটি মামলার রায়ের কপি ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর কারাবন্দী আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ গঠন করে দিলেই শুনানী শুরু হবে জানালেন, অ্যার্টনী জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পালিয়ে থাকা আসামীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের পাশাপশি ফিরে আনতে অবস্থান নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ আইন কর্মকর্তা।