১১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

হেফাজতের তাণ্ডব: ৩১০ জন গ্রেফতার

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের হরতালের সময় শহরজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি গ্রেফতাররা সবাই হেফাজতের কর্মী-সমর্থক। এ নিয়ে ওই ঘটনায় সর্বমোট ৩১০ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি, সরাইল থানায় দুইটি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

৫৬টি মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়। পুলিশ রোববার রাত পর্যন্ত এ সকল মামলায় মোট ৩১০ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে রোববার রাতেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পুলিশ ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে আসামিদেরকে গ্রেফতার করছে। এ ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন,  তাণ্ডবের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, মাতৃসদন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটিসহ তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, পৌর মেয়রের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হেফাজতের তাণ্ডব: ৩১০ জন গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৯:১৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের হরতালের সময় শহরজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি গ্রেফতাররা সবাই হেফাজতের কর্মী-সমর্থক। এ নিয়ে ওই ঘটনায় সর্বমোট ৩১০ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি, সরাইল থানায় দুইটি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

৫৬টি মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়। পুলিশ রোববার রাত পর্যন্ত এ সকল মামলায় মোট ৩১০ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে রোববার রাতেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পুলিশ ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে আসামিদেরকে গ্রেফতার করছে। এ ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন,  তাণ্ডবের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, মাতৃসদন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটিসহ তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, পৌর মেয়রের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।