০৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে খাগড়াছড়িতে টোলের নামে চাঁদাবাজি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে খাগড়াছড়িতে টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন পার্বত্য জেলা আম ব্যবসায়ী ও কুরিয়ার সার্ভিসসহ ব্যবসায়ীরা। প্রতিকার চেয়ে ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও হিতে বিপরীত হয়েছে। উল্টো চাঁদাবাজদের উৎসাহিত করে, আম ব্যবসায়ী ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস । প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে জেলা ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে জেলা পরিষদ,পৌরসভা ও বাজার ফান্ডের নামে প্রতিদিন চাঁদাবাজির শিকার জেলার আম ব্যবসায়ী ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো। কেবল জেলার ভেতরেই গাড়ি প্রতি চাঁদা দিতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। এসব সিন্ডিকেটের কাছে দিন দিন জিম্মি হয়ে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ দিলেও ফলাফল হয়েছে উল্টো। স্থানীয় প্রশাসন নিয়মবহির্ভূতভাবে, ফল ব্যবসায়ী ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে টোল প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে। জেলা পরিষদ এলাকা থেকে ফল বিক্রয়ের জন্য বড় ট্রাকে করে জেলার বাইরে গেলে দিতে হবে ৫০০ টাকা। ছোট ট্রাকের জন্য ৪০০ আর পিকআপের জন্য দিতে হবে ২০০ টাকা।

আর পৌরসভাধীন টোল কেন্দ্রে বিধি মোতাবেক টোলের হার নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হওয়ায়, জেলা প্রশাসনের চিঠি মোতাবেক কুরিয়ার সার্ভিসগুলো এই টোলের আওতায় পড়ে না। কিন্তু জোরপূর্বক এটি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব একটি মূল্যতালিকা রয়েছে। যেখানে হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই। কেবল খাগড়াছড়িতেই কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মবহির্ভূতভাবে মূল্য বেঁধে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ।২৪ জুন থেকে তা কার্যকর না হলে, ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। টোলের নামে এমন চাঁদাবাজি কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

খাগড়াছড়িতে কর আদায়ের এমন চাঁদাবাজির কারনে, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন ফল ব্যবসায়ী নেতারা।

প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধনের আয়োজন করেছে খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতি।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতি। এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও জেলা প্রশাসককে পাওয়া যায়নি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে খাগড়াছড়িতে টোলের নামে চাঁদাবাজি

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে খাগড়াছড়িতে টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন পার্বত্য জেলা আম ব্যবসায়ী ও কুরিয়ার সার্ভিসসহ ব্যবসায়ীরা। প্রতিকার চেয়ে ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও হিতে বিপরীত হয়েছে। উল্টো চাঁদাবাজদের উৎসাহিত করে, আম ব্যবসায়ী ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস । প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে জেলা ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে জেলা পরিষদ,পৌরসভা ও বাজার ফান্ডের নামে প্রতিদিন চাঁদাবাজির শিকার জেলার আম ব্যবসায়ী ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো। কেবল জেলার ভেতরেই গাড়ি প্রতি চাঁদা দিতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। এসব সিন্ডিকেটের কাছে দিন দিন জিম্মি হয়ে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ দিলেও ফলাফল হয়েছে উল্টো। স্থানীয় প্রশাসন নিয়মবহির্ভূতভাবে, ফল ব্যবসায়ী ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে টোল প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে। জেলা পরিষদ এলাকা থেকে ফল বিক্রয়ের জন্য বড় ট্রাকে করে জেলার বাইরে গেলে দিতে হবে ৫০০ টাকা। ছোট ট্রাকের জন্য ৪০০ আর পিকআপের জন্য দিতে হবে ২০০ টাকা।

আর পৌরসভাধীন টোল কেন্দ্রে বিধি মোতাবেক টোলের হার নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হওয়ায়, জেলা প্রশাসনের চিঠি মোতাবেক কুরিয়ার সার্ভিসগুলো এই টোলের আওতায় পড়ে না। কিন্তু জোরপূর্বক এটি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব একটি মূল্যতালিকা রয়েছে। যেখানে হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই। কেবল খাগড়াছড়িতেই কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মবহির্ভূতভাবে মূল্য বেঁধে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ।২৪ জুন থেকে তা কার্যকর না হলে, ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। টোলের নামে এমন চাঁদাবাজি কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

খাগড়াছড়িতে কর আদায়ের এমন চাঁদাবাজির কারনে, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন ফল ব্যবসায়ী নেতারা।

প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধনের আয়োজন করেছে খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতি।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফলদ বাগান মালিক সমবায় সমিতি। এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও জেলা প্রশাসককে পাওয়া যায়নি।