০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়াটিকে সুরক্ষা দিতে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিল্পায়নের নামে উচ্ছেদের মুখে থাকা সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়াটিকে সুরক্ষা দিতে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের মানবাধিকার ও পরিবেশ কর্মীরা। প্রশাসন ব্যর্থ হলে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তারা। আর টিআইবি বলছে, নামমাত্র সুদে দেশি-বিদেশী ফাণ্ডে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতির কারণ হলে তা খারাপ নজির সৃষ্টি করবে। ভবিষ্যতে বিদেশি ফাণ্ডের জন্য প্রতিবন্ধকতাও তৈরী করতে পারে।

অপরিকল্পিত নগরায়ন আর বেপরোয়া শিল্পায়নের ফলে প্রকৃতি হারাচ্ছে স্বকীয়তা। এরই মাঝে শত বছর ধরে প্রকৃতিকে স্বাভাবিক রেখে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ক্ষুদ্র নৃগোস্টি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তেমনই একটি ত্রিপুরা সম্প্রদায়। সীতাকুণ্ডের এই পাহাড়ে যাদের বসবাস ৫০ বছর ধরে। কিন্তু এখন পাশের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণ প্রকল্পে হুমকির মুখে পড়েছে পাড়াটি।

প্রকৃতিকে রক্ষার স্বার্থেই পাহাড়ে বাসকরা এই জনগোস্টিকে তাদের আবাসস্থলের নিশ্চয়তা দেয়ার দাবি পরিবেশকর্মীদের। সেটাফ

মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা বলছেন, আইন অনুযায়ী বেসরকারী জমিতে ১২ বছর আর সরকারি জমিতে ৫০ বছর কেউ বসবাস করলে দখল স্বত্ব মতে সেই জমির মালিকানা অন্যকেউ দাবি করতে পারেনা। এই বাস্তবতায় সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়াকে উচ্ছেদ কিংবা তাদের চলাচলের পথ বন্ধ করার আইনগত অধিকার কারো নেই।

আর টিআইবি বলছে, বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন করে সবুজ শিল্পায়নের কথা বলে নামমাত্র সুদে বিদেশি ফাণ্ডে বাস্তবায়নাধীন বড় এই প্রকল্পটির জন্য ছোট্ট এই পাড়াটি ক্ষতিগ্রস্থ হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের ভাবমুর্তিতে।

পাহাড়ে বসবাস করা অবহেলিত এই পাড়ার বাসিন্দাদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মীদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়াটিকে সুরক্ষা দিতে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান

আপডেট সময় : ১২:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০

শিল্পায়নের নামে উচ্ছেদের মুখে থাকা সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়াটিকে সুরক্ষা দিতে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের মানবাধিকার ও পরিবেশ কর্মীরা। প্রশাসন ব্যর্থ হলে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তারা। আর টিআইবি বলছে, নামমাত্র সুদে দেশি-বিদেশী ফাণ্ডে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতির কারণ হলে তা খারাপ নজির সৃষ্টি করবে। ভবিষ্যতে বিদেশি ফাণ্ডের জন্য প্রতিবন্ধকতাও তৈরী করতে পারে।

অপরিকল্পিত নগরায়ন আর বেপরোয়া শিল্পায়নের ফলে প্রকৃতি হারাচ্ছে স্বকীয়তা। এরই মাঝে শত বছর ধরে প্রকৃতিকে স্বাভাবিক রেখে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ক্ষুদ্র নৃগোস্টি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তেমনই একটি ত্রিপুরা সম্প্রদায়। সীতাকুণ্ডের এই পাহাড়ে যাদের বসবাস ৫০ বছর ধরে। কিন্তু এখন পাশের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণ প্রকল্পে হুমকির মুখে পড়েছে পাড়াটি।

প্রকৃতিকে রক্ষার স্বার্থেই পাহাড়ে বাসকরা এই জনগোস্টিকে তাদের আবাসস্থলের নিশ্চয়তা দেয়ার দাবি পরিবেশকর্মীদের। সেটাফ

মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা বলছেন, আইন অনুযায়ী বেসরকারী জমিতে ১২ বছর আর সরকারি জমিতে ৫০ বছর কেউ বসবাস করলে দখল স্বত্ব মতে সেই জমির মালিকানা অন্যকেউ দাবি করতে পারেনা। এই বাস্তবতায় সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়াকে উচ্ছেদ কিংবা তাদের চলাচলের পথ বন্ধ করার আইনগত অধিকার কারো নেই।

আর টিআইবি বলছে, বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন করে সবুজ শিল্পায়নের কথা বলে নামমাত্র সুদে বিদেশি ফাণ্ডে বাস্তবায়নাধীন বড় এই প্রকল্পটির জন্য ছোট্ট এই পাড়াটি ক্ষতিগ্রস্থ হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের ভাবমুর্তিতে।

পাহাড়ে বসবাস করা অবহেলিত এই পাড়ার বাসিন্দাদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মীদের।