প্রায় সাত মাস পর সিলেটের পুলিশ ফাঁড়িতে আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পিবিআই। বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্ত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৫ পুলিশ সদস্য ও একজন কথিত সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পিবিআইয়ের তদন্তে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে রায়হানের পরিবার ও আইনজীবী।

সিলেট নগরীর আখালিয়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে গত বছর ১১ অক্টোবর ভোরে তুলে নিয়ে যায় বন্দর বাজার ফাঁড়ি পুলিশ। এরপর কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালায়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে, সেখানেই মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা হয়। দীর্ঘ সাত মাস তদন্ত শেষে আদালতে ১৯৬২ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পিবিআই। অধিকতর তদন্ত ও করোনা মহামারির কারণে অভিযোগপত্র দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে বলে জানায় তারা।

অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পর প্রেস ব্রিফিংয়ে পিবিআই জানায়, নির্যাতনের সাথে চার পুলিশ সদস্য ও আলামত ধ্বংসের সাথে দু’জন জড়িত ছিলেন।

এ ঘটনায় বরখাস্ত ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান আলী, এএসআই আশেকে এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া ও কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস কারাগারে আছেন। আলামত নষ্টের সাথে জড়িত কথিত সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমান পলাতক রয়েছেন। অভিযোগপত্র বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন রায়হানের পরিবার ও আইনজীবী।

আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সিলেটবাসী।