০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

সাবেক মেয়র নাসিরের আমলে দুর্নীতি জেঁকে বসেছিলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাসিরের আমলে–চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সবকটি খাতেই অনিয়ম দুর্নীতি জেঁকে বসেছিলো। এসব দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরী করে দুদকসহ সরকারের শীর্ষ দফতরগুলোতে পাঠানো হবে। সেখানকার পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন চসিক প্রশাসক। আর বিশ্লেষকরা বলছেন এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়–তবে এই তালিকা শুধু সরকারী দফতরে ফাইল বন্ধী থাকলেই চলবে না; প্রকাশিত হতে হবে জনসম্মুখে।

বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের টেন্ডারে অনিয়ম, সৌন্দর্য বর্ধনের নামে দোকান ও সাইনবোর্ড বাণিজ্য, স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতি, শিক্ষা ও বিদ্যুত খাতে নয়-ছয় এমনকি যানবাহনের তেল ক্রয় এবং ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ প্রকল্পেও লুটপাটের ছবি স্পষ্ট। সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাসির উদ্দিনের পুরো আমলটি এভাবেই চলেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। করোনার কারণে নতুন নির্বাচন না হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগের বিষয়গুলো সামনে আসতে শুরু করেছে।

কর্পোরেশনের এমন দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি এখান থেকে অবৈধ সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরী কাজ চলছে। শেষ হলেই পুরো চিত্র তুলে ধরা হবে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে। সেখান থেকে আসা নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তি পদক্ষেপ নেবে চসিক। এমনটাই জানালেন প্রশাসক।

নতুন প্রশাসকের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সুশসনের জন্য নাগরিক সুজন বলছে, দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাভোগীদের এই তালিকা শুধু সরকারি দফতরে ফাইলবন্দী না রেখে উন্মুক্ত করতে হবে জনগনের সামনে। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবেক মেয়র ও বর্তমান প্রশাসক একই রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপুর্ণ নেতা হলেও দু’জন দুই মেরুর হিসেবে পরিচিত। তাই স্পর্শকাতর বিষয়গুলো সামনে এলে রাজনৈতিক বিভেদ বাড়ার পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হবে উন্নয়ন কর্মকান্ড।

২০১০ সালে টানা তিনবারের নির্বাচিত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পরাজিত করেন বিএনপির মনজুর আলম। পড়ে মনজুরকে হারিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসেন আ.জ.ম নাসির উদ্দিন। মেয়াদ শেষে নতুন নির্বাচন না হওয়ায় প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান খোরশেদ আলম সুজন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শীর্ষ পদটিতে নিয়মিত পালাবদল হলেও সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ আসার বিষয়টি এবারই প্রথম।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাবেক মেয়র নাসিরের আমলে দুর্নীতি জেঁকে বসেছিলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে

আপডেট সময় : ০২:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০

সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাসিরের আমলে–চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সবকটি খাতেই অনিয়ম দুর্নীতি জেঁকে বসেছিলো। এসব দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরী করে দুদকসহ সরকারের শীর্ষ দফতরগুলোতে পাঠানো হবে। সেখানকার পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন চসিক প্রশাসক। আর বিশ্লেষকরা বলছেন এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়–তবে এই তালিকা শুধু সরকারী দফতরে ফাইল বন্ধী থাকলেই চলবে না; প্রকাশিত হতে হবে জনসম্মুখে।

বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের টেন্ডারে অনিয়ম, সৌন্দর্য বর্ধনের নামে দোকান ও সাইনবোর্ড বাণিজ্য, স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতি, শিক্ষা ও বিদ্যুত খাতে নয়-ছয় এমনকি যানবাহনের তেল ক্রয় এবং ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ প্রকল্পেও লুটপাটের ছবি স্পষ্ট। সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাসির উদ্দিনের পুরো আমলটি এভাবেই চলেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। করোনার কারণে নতুন নির্বাচন না হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগের বিষয়গুলো সামনে আসতে শুরু করেছে।

কর্পোরেশনের এমন দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি এখান থেকে অবৈধ সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরী কাজ চলছে। শেষ হলেই পুরো চিত্র তুলে ধরা হবে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে। সেখান থেকে আসা নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তি পদক্ষেপ নেবে চসিক। এমনটাই জানালেন প্রশাসক।

নতুন প্রশাসকের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সুশসনের জন্য নাগরিক সুজন বলছে, দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাভোগীদের এই তালিকা শুধু সরকারি দফতরে ফাইলবন্দী না রেখে উন্মুক্ত করতে হবে জনগনের সামনে। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবেক মেয়র ও বর্তমান প্রশাসক একই রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপুর্ণ নেতা হলেও দু’জন দুই মেরুর হিসেবে পরিচিত। তাই স্পর্শকাতর বিষয়গুলো সামনে এলে রাজনৈতিক বিভেদ বাড়ার পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হবে উন্নয়ন কর্মকান্ড।

২০১০ সালে টানা তিনবারের নির্বাচিত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পরাজিত করেন বিএনপির মনজুর আলম। পড়ে মনজুরকে হারিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসেন আ.জ.ম নাসির উদ্দিন। মেয়াদ শেষে নতুন নির্বাচন না হওয়ায় প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান খোরশেদ আলম সুজন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শীর্ষ পদটিতে নিয়মিত পালাবদল হলেও সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ আসার বিষয়টি এবারই প্রথম।