০৬:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সাগরে ধরা পড়া প্রায় ৭০ শতাংশ ইলিশের পেটেই ডিম, দুশ্চিন্তায় মৎস বিভাগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:১১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাগরে বিপুল পরিমান ইলিশ মাছ ধরা পড়া প্রায় ৭০ শতাংশ মাছের পেটেই ডিম ভর্তি।এতে জেলেরা খুশি হলেও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মৎস বিভাগের কর্মকর্তারা।এই বাস্তবতায় মাছ ধরার ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ভাবছে মৎস অধিদফতর। এদিকে জেলেদের অভিযোগ, ঠিকমতো গবেষনা না করে মৎস অধিদপ্তর মনগড়া মাছ ধরা বন্ধ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মৎসজীবীরা। এতে আইন ভাঙ্গার প্রবণতা বাড়ছে বরং কমছেনা।

চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট জেলেপাড়ার চিত্র এটি। সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরছেন জেলেরা। ৩ শো গ্রাম থেকে শুরু করে দেড় কেজি ওজনের মাছও আছে তাদের ঝুঁড়িতে। কিন্তু অধিকাংশ মাছের পেটই ডিম ভর্তি। ডিমওয়ালা মা মাছ রক্ষায় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময় আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা।

জেলেদের অভিযোগ, ক’দিন আগে সামুদ্রিক মাছ রক্ষার নামে সাগরে মাছ ধরার ওপর টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিলো। এখন মা মাছ রক্ষার নামে ফের নিষেধাজ্ঞার সময় এসেছে। সঠিকভাবে গবেষনা না করে দফায় দফায় মাছ ধরা বন্ধ করলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।

একই চিত্র চট্টগ্রামের ফিশারী ঘাটের। বিপুল পরিমান মাছ বোঝায় ট্রলার আসছে সাগর থেকে। জেলেরা জানান, সাগরে বিপুল মাছের দেখা পাচ্ছেন তারা। কিন্তু ধরা পড়া ৭০ ভাগ মাছের পেটেই রয়েছে ডিম ভর্তি। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের আগেই এসব মাছ ডিম ছেড়ে দেবে।

বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত মৎস অধিদফতর। মা মাছ রক্ষায় ইলিশ ধরার ওপর নিশেধাজ্ঞার সময় এগিয়ে আনার চিন্তাও করছেন তারা।

মা মাছ রক্ষা ও সামুদ্রিক মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে বছরে দুই দফায় মৎস আহরণ বন্ধ করা শুরু করছে সরকার। কয়েক বছরে তার ইতিবাচক ফলও এসেছে। তাই শ্মরণকালের সবচেয়ে বেশী বড় ইলিশ ধরা পড়েছে এবার। কিন্তু দিনক্ষণ ভুলের কারণে মহতি এই উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার আশংকাও রয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাগরে ধরা পড়া প্রায় ৭০ শতাংশ ইলিশের পেটেই ডিম, দুশ্চিন্তায় মৎস বিভাগ

আপডেট সময় : ০৩:১১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

সাগরে বিপুল পরিমান ইলিশ মাছ ধরা পড়া প্রায় ৭০ শতাংশ মাছের পেটেই ডিম ভর্তি।এতে জেলেরা খুশি হলেও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মৎস বিভাগের কর্মকর্তারা।এই বাস্তবতায় মাছ ধরার ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ভাবছে মৎস অধিদফতর। এদিকে জেলেদের অভিযোগ, ঠিকমতো গবেষনা না করে মৎস অধিদপ্তর মনগড়া মাছ ধরা বন্ধ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মৎসজীবীরা। এতে আইন ভাঙ্গার প্রবণতা বাড়ছে বরং কমছেনা।

চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট জেলেপাড়ার চিত্র এটি। সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরছেন জেলেরা। ৩ শো গ্রাম থেকে শুরু করে দেড় কেজি ওজনের মাছও আছে তাদের ঝুঁড়িতে। কিন্তু অধিকাংশ মাছের পেটই ডিম ভর্তি। ডিমওয়ালা মা মাছ রক্ষায় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময় আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা।

জেলেদের অভিযোগ, ক’দিন আগে সামুদ্রিক মাছ রক্ষার নামে সাগরে মাছ ধরার ওপর টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিলো। এখন মা মাছ রক্ষার নামে ফের নিষেধাজ্ঞার সময় এসেছে। সঠিকভাবে গবেষনা না করে দফায় দফায় মাছ ধরা বন্ধ করলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।

একই চিত্র চট্টগ্রামের ফিশারী ঘাটের। বিপুল পরিমান মাছ বোঝায় ট্রলার আসছে সাগর থেকে। জেলেরা জানান, সাগরে বিপুল মাছের দেখা পাচ্ছেন তারা। কিন্তু ধরা পড়া ৭০ ভাগ মাছের পেটেই রয়েছে ডিম ভর্তি। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের আগেই এসব মাছ ডিম ছেড়ে দেবে।

বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত মৎস অধিদফতর। মা মাছ রক্ষায় ইলিশ ধরার ওপর নিশেধাজ্ঞার সময় এগিয়ে আনার চিন্তাও করছেন তারা।

মা মাছ রক্ষা ও সামুদ্রিক মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে বছরে দুই দফায় মৎস আহরণ বন্ধ করা শুরু করছে সরকার। কয়েক বছরে তার ইতিবাচক ফলও এসেছে। তাই শ্মরণকালের সবচেয়ে বেশী বড় ইলিশ ধরা পড়েছে এবার। কিন্তু দিনক্ষণ ভুলের কারণে মহতি এই উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার আশংকাও রয়েছে।