লকডাউনের ফাঁদে পড়ে জীবিকার সংকটে ধুঁকছে খেটে খাওয়া মানুষ
- আপডেট সময় : ০২:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
বাইরে কাজ বন্ধ, তাই ঘরে খাবার জুটছে না। সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের ফাঁদে পড়ে জীবিকার সংকটে ধুঁকছে খেটে খাওয়া মানুষ। করোনা সতর্কতা বিধি মানতে গিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের বেঁচে থাকাটাই বড় কষ্টকর। তাদের অভিযোগ, গেল বছর লকডাউনে সরকার ত্রাণ বিতরণ করলেও এবার এখনো আসেনি সেরকম কোন সহায়তা। যদিও সরকারী তথ্য বলছে, এবার খাদ্য নয়, দেয়া হবে নগদ টাকা।
করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকায় বায়িং হাউজে চাকরি হারিয়ে এখন রাজশাহীতে রিকশা চালান রাজু আহমেদ। স্বচ্ছ্বল পরিবারে বেড়ে ওঠা রাজুর বাবা ছিলেন গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি। গেল বছর লকডাউনের সময় ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে বাসের সুপারভাইজার হন। আর এবার লকডাউনে সেটিও হারিয়ে এখন রিকশার হ্যান্ডেল ধরেছেন বেঁচে থাকার তাড়নায়।
রাজুর মতো হাজারো মানুষের জীবন ও জীবিকা এখন অনিশ্চয়তায়। লকডাউনে ঘর থেকে বাইরে পা বাড়ানো নিষিদ্ধ। কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকলে সংসার চলে না। তাই আইনকানুনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছোটখাটো ব্যবসার পসরা নিয়ে পথের ধারে বসছেন অনেকেই। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না পুলিশের বাগড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচবে কোনপথে- এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ডাব বিক্রেতা জাহানারাদের মনে।
তবে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সরকারি সহায়তার কোনো অভাব নেই। এবার খাদ্যপণ্য নয়, দেয়া হচ্ছে নগদ টাকা।গেল বছরের মতো এবারো শ্রমজীবী মানুষের খাদ্যনিরাপত্তায় সরকারকে দ্রুত সহায়তার হাত বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
জিডিপিতে অবদান রাখা শহরাঞ্চলের শতকরা ৬৯ ভাগেরই জীবিকা, করোনায় ঝুঁকিতে পড়েছে-শনিবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সিপিডি এবং শ্রম গবেষণা সংস্থা বিলস।