১০:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

এমপি’র বিশেষ আশীর্বাদে দেলোয়ার ও তার গ্রুপের বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের মানুষের কাছে এক আতংকের নাম ‘রেড স্টার’ গ্যাং বাহিনী। এই বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ১২টি ধর্ষণ ও ৩টি হত্যাসহ ১৭ মামলার আসামি। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ আশীর্বাদ থাকায় পুলিশ দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে কখনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি। এদিকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই নারী দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এজাহারে বলা হয়েছে, দেলোয়ার প্রায় এক বছর আগে এবং রমজানের আগে দুই দফা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। দ্বিতীয়বার কালামও তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

পঞ্চম শ্রেণি পাশ করেই দেলোয়ার বেগমগঞ্জ এলাকায় বখাটে ছেলেদের তালিকায় নাম লেখায়। তার সমবয়সি ২০ জনকে নিয়ে গঠন করে ‘রেড স্টার’ গ্যাং বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘রেড স্টার গ্যাং’ নামে একটি পেজও খোলে। এই পেজে নতুন ভিডিও আপ করার জন্য নিজেরাই ঘটনা তৈরি করে তা ভিডিও করে তাদের পেজে আপ করা হয়।

সরজমিনে একলাশপুর ইউনিয়নের মানুষের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দেলোয়ার নিজেই বেগমগঞ্জ এলাকায় তরুণীদের ইভটিজিং করতেন। ইভটিজিং করার দৃশ্য তার বাহিনীর সদস্য দিয়ে ভিডিও করাতেন। পরে ঐ ভিডিও তার রেড স্টার গ্যাং পেজে আপ করা হতো। এভাবে দেলোয়ার বাহিনী বেগমগঞ্জ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, দখল এমনকি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েও দেলোয়ার বাহিনী এতদিন ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান দেলোয়ারের নামে এর আগে মামলা থাকলেও তার বাহিনীর কথা জানতন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।ঘটনার সাথে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস পায়নি ভূক্তভোগিরা। এলাকাবাসী।

১২টি ধর্ষণ ও ৩টি হত্যাসহ দেলোয়ার ১৭ মামলার আসামি হয়েও কীভাবে বেগমগঞ্জ এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ আশীর্বাদ থাকায় পুলিশ দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার গ্রুপের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নিতেন না। তবে সংসদ সদস্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আর পৌর মেয়রের দাবি- অপরাধী যেই হোক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এমপি’র বিশেষ আশীর্বাদে দেলোয়ার ও তার গ্রুপের বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের মানুষের কাছে এক আতংকের নাম ‘রেড স্টার’ গ্যাং বাহিনী। এই বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ১২টি ধর্ষণ ও ৩টি হত্যাসহ ১৭ মামলার আসামি। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ আশীর্বাদ থাকায় পুলিশ দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে কখনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি। এদিকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই নারী দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এজাহারে বলা হয়েছে, দেলোয়ার প্রায় এক বছর আগে এবং রমজানের আগে দুই দফা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। দ্বিতীয়বার কালামও তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

পঞ্চম শ্রেণি পাশ করেই দেলোয়ার বেগমগঞ্জ এলাকায় বখাটে ছেলেদের তালিকায় নাম লেখায়। তার সমবয়সি ২০ জনকে নিয়ে গঠন করে ‘রেড স্টার’ গ্যাং বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘রেড স্টার গ্যাং’ নামে একটি পেজও খোলে। এই পেজে নতুন ভিডিও আপ করার জন্য নিজেরাই ঘটনা তৈরি করে তা ভিডিও করে তাদের পেজে আপ করা হয়।

সরজমিনে একলাশপুর ইউনিয়নের মানুষের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দেলোয়ার নিজেই বেগমগঞ্জ এলাকায় তরুণীদের ইভটিজিং করতেন। ইভটিজিং করার দৃশ্য তার বাহিনীর সদস্য দিয়ে ভিডিও করাতেন। পরে ঐ ভিডিও তার রেড স্টার গ্যাং পেজে আপ করা হতো। এভাবে দেলোয়ার বাহিনী বেগমগঞ্জ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, দখল এমনকি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েও দেলোয়ার বাহিনী এতদিন ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান দেলোয়ারের নামে এর আগে মামলা থাকলেও তার বাহিনীর কথা জানতন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।ঘটনার সাথে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস পায়নি ভূক্তভোগিরা। এলাকাবাসী।

১২টি ধর্ষণ ও ৩টি হত্যাসহ দেলোয়ার ১৭ মামলার আসামি হয়েও কীভাবে বেগমগঞ্জ এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ আশীর্বাদ থাকায় পুলিশ দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার গ্রুপের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নিতেন না। তবে সংসদ সদস্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আর পৌর মেয়রের দাবি- অপরাধী যেই হোক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।