বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর রাষ্ট্রীয় আয়োজনে অংশ নিতে দু’দিনের সফরে ঢাকায় এসে লালগালিচা সংবর্ধনা পেলেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারি। বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউণ্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, দু’দেশের মৈত্রীময় সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তার এ সফরে বাংলাদেশের সাথে নেপালের বেশ ক’টি সমঝোতা স্মারক সই হবার কথা রয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারিকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। নেপালের কোনো রাষ্ট্রপতির এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।

বর্ণাঢ্য রাষ্ট্রাচারে সামাজিক দূরত্ব মেনেই তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় সালাম জানিয়ে দেওয়া হয় গান স্যালুট। যন্ত্রসংগীতে দু’দেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে সম্মান জানানো হয় এই অতিথি রাষ্ট্রপ্রধানকে।

এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান বিদ্যা দেবী। সেখানে শ্রদ্ধা জানান শহীদদের প্রতি। চৌকস দল সামরিক কায়দায় সম্মান জানায় । প্রথা অনুযায়ী সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করে পরিদর্শন বইতে তিনি লেখেন, বাঙালির ত্যাগ আর সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীনতার গৌরবগাঁথা।

বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিদ্যা দেবী ভান্ডারির সঙ্গে সাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনার মহামারীতেও বাংলাদেশের আমন্ত্রনে সাড়া দেয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে নেপালের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। তাঁকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাথে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা।

বিদ্যা দেবী ভান্ডারী বলেন, দুদেশের মৈত্রীময় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী হবে। জলবায়ূর বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে চায় তাঁর দেশ।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যাত্রা যে কোন দেশের জন্য অনুকরণীয়।

এ সফরে মঙ্গলবার বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হবার কথা রয়েছে।