সারাদেশে মাদকের সঙ্গে জড়িত সংসদ সদস্যসহ মাঠপর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও গডফাদারদের তালিকা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের নির্দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এই তালিকা তৈরি করছে। এরইমধ্যে রাজশাহী বিভাগে প্রায় দেড়’শ গডফাদারের নাম জমা পড়েছে। তালিকায় আছে খুচরা ব্যবসায়ীররাও। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, মাদক কেনাবেচায় অবৈধপথে টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেলে মামলা হবে মানিং লন্ডারিং আইনে।

মাদকের লাগাম টেনে ধরতে এবার গডফাদারদের তালিকা হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় অন্তত দেড়’শ গডফাদারের নাম পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও। আর, খুচরা ব্যবসায়ী আছেন এক হাজারেরও বেশি।

রাজশাহী অঞ্চলের সীমান্তে সবসময়ই বেপরোয়া থাকে মাদক কারবারীরা। ভারত থেকে ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইয়াবা আসে সারাবছরই। যদিও বেশিরভাগ প্রভাবশালী গডফাদারেরই নাগাল পায়না আইনশৃংখলা বাহিনী। তবে, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানান আরএমপি কমিশনার।

অবৈধ পথে আসা মাদক কেনাবেচার টাকা পাচার হয়ে যায় বিদেশে। গডফাদারদের চিহ্নিত করা গেলে তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা হবে বলে জানায়, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

গত ছ’মাসে কেবল রাজশাহী মহানগরীতেই মাদকের মামলা হয়েছে এক হাজার সাড়ে ছ’শটি। আর গোটা বিভাগের এই সংখ্যা কয়েক হাজার।