নদ-নদীর পানি কমছে, শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন
- আপডেট সময় : ০১:০১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমে গেছে। তবে দুর্গত এলাকা গুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। অনেক এলাকায় পানি কমার সঙ্গে-সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। চরাঞ্চলগুলোতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িতে দুর্ভোগে রয়েছে মানুষজন। নদ-নদীর অববাহিকা ও নীচু এলাকার অনেক ঘর-বাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সেখানকার মানুষজন এখনও ঘরে ফিরতে পারেনি। হাতে কাজ না থাকায় খাদ্য সংকট নিয়ে দিন পাড় করছে বন্যা দুর্গত এলাকার পরিবারগুলো।
গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে সকাল পর্যন্ত বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং একই সময় কাজিপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পদ্মার পানি কমতে থাকায় আবার নতুন করে মাদারীপুর জেলার শিবচরের নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তীব্র ভাঙনের শিকার হয়েছে কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্রীজ, রাস্তাসহ অসংখ্য বসতবাড়ি। কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের কাঠালবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রীজ, রাস্তাসহ দোকানপাট ও অসংখ্য বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টার এর দিকে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাবনায় যমুনা নদীর পানি কমলেও বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি করে এখনো বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার অনেক মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নেত্রকোনায় ধীর গতিতে পানি কমতে শুরু করেছে। এতে দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
গোপালগঞ্জে মধুমতি, কুমার নদ, শৈলদহ, বাঘিয়ারকুল, ঘাঘর নদী ও এমবিআর চ্যানেলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার অন্তত ২৫টি গ্রামের ২২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানি বৃদ্ধির কারণে সদর উপজেলার মধুমতি নদীর মানিকদাহ, জালালাবাদ এবং মধুমিত বিলরুট চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
গাজীপুরে তুরাগ, বংশী ও ঘাটাখালি নদীর পানি গত কয়েকদিনে ধীর গতিতে কমলেও গতকালের বৃষ্টিতে এখন স্থিতাবস্তায় রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন। কালিয়াকৈর উপজেলার ১৮২টি গ্রাম ও নিম্নাঞ্চল এখনো বন্যা কবলিত। পানিতে তলিয়ে আছে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।