নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছে তাই বাংলাদেশ। ক্যাচ মিসের চরম মাশুল দিলো টাইগাররা। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতলো নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে হেরেছে তামিমের দলের। ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখে জয় পায় নিউজিল্যান্ড। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরিতে জয়ের নায়ক টম লাথাম। অপরাজিত ছিলেন ১১০ রানে। এর আগে তামিম-মিথুনের জোড়া ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২৭১ রান তোলে বাংলাদেশ। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ৫০তম ফিফটির মাইলফলকে তামিম ইকবাল।

কথায় আছে ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডে যেন তারই প্রতিচ্ছবি। প্রথমে মুশফিক–খানেই বাদে শেখ মেহেদী। সেঞ্চুরিয়ান লাথামকে যখন এভাবে জীবন উপহার দিয়েছিলেন মেহেদী। তখনও জয় থেকে ৯১ রান দূরে নিউজিল্যান্ড। তবে, জীবন পেয়ে ফায়দা নিতে ভুল করেননি লাথাম।ফল ৫ উইকেটে হেরে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খুইয়ে খেসারত দিলো বাংলাদেশ।

অথচ ২৭২ রানেট টার্গেট দিয়ে কি শুরুটাই না করেছিলো বাংলাদেশ। দলীয় ৫৩ রানে তিন কিউই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে। মোস্তাফিজের পর শেখ মেহেদীর জোড়া আঘাত।

তবে, পরের সময়টা শুধুই নিউজিল্যান্ডের। ম্যাচের পার্থক্য গড়ে টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ের ১১৩ রানের জুটি।

৭২ রানে যদিও কনওয়ের বিদায়ে আশা জেগেছিলো। কিন্তু ক্যাচ মিসের মহড়ায় সবই যেন ধুলিস্মাৎ। সুযোগ পেয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে কিউইদের ম্যাচ জয়ের নায়ক সেই টম লাথাম। অপরাজিত থাকেন ১১০ রানে।

এর আগে, ক্রাইটসচার্চের হ্যাগলি ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ভেন্যু বদলেও ভাগ্য বদলায়নি লিটনের।

দ্বিতীয় উইকেটে বিপর্যয় কাটায় বাংলাদেশ। ৮১ রানের প্রতিরোধ তামিম-সৌম্য’র। তবে, সেট হয়েও উইকেট বিলিয়ে দিতে ভুল করেনি সৌম্য সরকার। ফিরেছেন ৩২ করে।

অবিচল ছিলেন তামিম। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ক্যারিয়ারের ৫০তম ফিফটিতে। তবে, বাংলাদেশ যখনই আশায় বুক বাঁধছে। তখন আবারও হোঁচট। ৭৮-রে রান আউটে কাটা পড়লেন তামিম ইকবাল।

চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে লড়াই করেছেন মোহাম্মদ মিথুন। ৩৪ শে মুশফিক আর দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ১৬ রানে থেমেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরই মাঝে ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ অর্ধশতক তুলে নেন মিথুন।

মাহমুদউল্লাহ’র পথে হেঁটেছেন শেখ মেহেদীও। তবে, মিথুনের ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানে ৬ উইকেটে ২৭১ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

চ্যালেজিং স্কোরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রেখেছিলেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ মোস্তাফিজ,তাসকিন সাইফুদ্দিনরা।