জীবন-জীবিকার তাগিদে সড়কে বের হয়ে পুলিশের হয়রানীর শিকার শ্রমজীবীরা
- আপডেট সময় : ১০:৩১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
লকডাউনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ১৮ ধরনের পেশাজীবীদের মুভমেন্ট পাসের অনুমতির প্রয়োজন না থাকায় সড়কে বেড়েছে যানবাহন এবং মানুষের উপস্থিতি। এমন অবস্থায় দায়িত্বরত আইন-শৃংখলা বাহিনীও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না। দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকলেও নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলছে কাঁচাবাজার। আর, জীবন-জীবিকার তাগিদে সড়কে বের হয়ে পুলিশের হয়রানীর শিকার হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। লকডাউনে সরকার খাদ্য-সহায়তা চালু না করায় ক্ষোভ জানান তারা।
করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যক্তিগত যান চলাচল।
পুলিশের তল্লাশী ও জেরা চললেও যাত্রীরা তুলে ধরছেন তাদের যুক্তি।
চেকপোষ্টে অসংখ্য যানবাহন আটকে জেরা করতে দেখা গেলেও তেমন কাউকেই আইনের আওতায় নিতে পারেনি পুলিশ।
১৮ ধরনের পেশাজীবীর চলাচলে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় সড়কে জনসমাগম বাড়ছে বলেও দাবি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর।
চেকপোষ্টের নামে সড়কে পুলিশ জনসাধারণকে হয়রানী করছে বলেও দাবি করেন অনেকে। লকডাউন নিয়েও রয়েছে তাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম তেমন দেখা না গেলেও কাঁচা বাজারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন।
মাস্ক ছাড়াই বেচাকেনা করছেন অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা।
লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা ঠেলে জীবিকার প্রয়োজনে রিক্সা নিয়ে সড়কে বের হয়ে পুলিশের রোষানলে পড়েন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা।
এসব বিষয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালনের কথা জানান তারা।
গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে সহপাঠীকে খুঁজতে মাস্কবিহীন বাইরে এসে মোবাইল কোর্টে ধরা পড়ে ৪ কিশোর।
আইনী জটিলতায় কিশোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমস্যার কথা জানায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।