১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চার মাস পর আবার ভারতীয় পেঁয়াজ ঢুকছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চার মাস বন্ধ থাকার পর আবার ভারতীয় পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার- চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। এতে বিপাকে পড়েছেন তুরস্ক, চীন, পাকিস্তানের মতো দুরবর্তী দেশগুলো থেকে দুঃসময়ে বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানীকারকরা। একই সঙ্গে নতুন ওঠা দেশীয় পেঁয়াজের দামও পতনের আশংকায় রয়েছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, কৃষকের স্বার্থ আর বাজারে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানী নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্য আর কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে চাহিদা, উৎপাদন, সরবরাহ ও আমদানীর সুনির্দিষ্ট রুপরেখা তৈরী করতে হবে এখনই

লাল, খয়েরি, সাদা, ছোট-বড় এমন বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজে ঠাসা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের প্রতিটি গুদাম। কারণ টানা চার মাস ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ থাকায় দুঃসময়ে বাজারের চাহিদা মেটাতে পাকিস্তান, চীন, মায়ানমান, তুরস্কের মতো দূরবর্তী দেশ থেকে নানান ধরনের পেঁয়াজ আমদানী করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। হালে দেশীয় পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে বাজারে। পাইকারীতে সব ধরনের পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এরই মধ্যে সুসময়ে রপ্তানীর অনুমোদন দেয়ায় ভরা মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে বাজারে। ফলে মূল্য পতনের আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ভারত সরকারের হঠাৎ পেঁয়াজ বন্ধের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণেই সরকারের পরামর্শে নতুন বাজার খুঁজে তুলনামূলক বেশীদামে পেঁয়াজ আমদানী করে বাজার স্থিতিশীল রাখেন ব্যবসায়ীরা। এখন বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজও যখন উঠতে শুরু করেছে; ঠিক তখন পেঁয়াজ রপ্তানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। তাই এ মুহুর্তে নামমাত্র শুল্ক বসিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের অবাধ আমদানীর সুযোগ দিলে ব্যবসায়ীরা লোকশানে পড়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন দেশের কৃষকরাও।

আর বিশ্লেষকরা বলছেন, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার চিত্র স্পষ্ট। এ থেকে উত্তরণে সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উৎপাদন ও আমদানী-রপ্তানীর সুনির্দিষ্ট রূপরেখা এবং নীতিমালা প্রণয়ণ জরুরী।

খাতা-কলমে দেশে প্রতিবছর ৩২ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ২২ লাখ টনেরও বেশি। বাকি মাত্র ১০ লাখ টন পেঁয়াজের জন্য ভারত-নির্ভরতার নীতি বাজারে ফি-বছরই ব্যাপক মূল্য-বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তা তৈরী করছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চার মাস পর আবার ভারতীয় পেঁয়াজ ঢুকছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে

আপডেট সময় : ০২:১৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১

চার মাস বন্ধ থাকার পর আবার ভারতীয় পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার- চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। এতে বিপাকে পড়েছেন তুরস্ক, চীন, পাকিস্তানের মতো দুরবর্তী দেশগুলো থেকে দুঃসময়ে বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানীকারকরা। একই সঙ্গে নতুন ওঠা দেশীয় পেঁয়াজের দামও পতনের আশংকায় রয়েছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, কৃষকের স্বার্থ আর বাজারে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানী নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্য আর কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে চাহিদা, উৎপাদন, সরবরাহ ও আমদানীর সুনির্দিষ্ট রুপরেখা তৈরী করতে হবে এখনই

লাল, খয়েরি, সাদা, ছোট-বড় এমন বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজে ঠাসা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের প্রতিটি গুদাম। কারণ টানা চার মাস ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ থাকায় দুঃসময়ে বাজারের চাহিদা মেটাতে পাকিস্তান, চীন, মায়ানমান, তুরস্কের মতো দূরবর্তী দেশ থেকে নানান ধরনের পেঁয়াজ আমদানী করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। হালে দেশীয় পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে বাজারে। পাইকারীতে সব ধরনের পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এরই মধ্যে সুসময়ে রপ্তানীর অনুমোদন দেয়ায় ভরা মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে বাজারে। ফলে মূল্য পতনের আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ভারত সরকারের হঠাৎ পেঁয়াজ বন্ধের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণেই সরকারের পরামর্শে নতুন বাজার খুঁজে তুলনামূলক বেশীদামে পেঁয়াজ আমদানী করে বাজার স্থিতিশীল রাখেন ব্যবসায়ীরা। এখন বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজও যখন উঠতে শুরু করেছে; ঠিক তখন পেঁয়াজ রপ্তানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। তাই এ মুহুর্তে নামমাত্র শুল্ক বসিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের অবাধ আমদানীর সুযোগ দিলে ব্যবসায়ীরা লোকশানে পড়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন দেশের কৃষকরাও।

আর বিশ্লেষকরা বলছেন, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার চিত্র স্পষ্ট। এ থেকে উত্তরণে সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উৎপাদন ও আমদানী-রপ্তানীর সুনির্দিষ্ট রূপরেখা এবং নীতিমালা প্রণয়ণ জরুরী।

খাতা-কলমে দেশে প্রতিবছর ৩২ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ২২ লাখ টনেরও বেশি। বাকি মাত্র ১০ লাখ টন পেঁয়াজের জন্য ভারত-নির্ভরতার নীতি বাজারে ফি-বছরই ব্যাপক মূল্য-বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তা তৈরী করছে।