০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চাঞ্চল্যকর তথ্য গোপন করে চাকরি নেন পেট্রোবাংলার আইয়ুব খান চৌধুরী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একটি বেসরকারি ব্যাংকের চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু। কয়েক মাসের মাথায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জেলে যান তিনি। তিন মাস জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে আত্মসাত করা টাকা ফিরিয়ে দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও সেই চাকরিতে আর ফেরা হয়নি। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য গোপন করেই চাকরি নেন পেট্রোবাংলার সহকারি ব্যবস্থাপক হিসেবে। কপালগুনে বছর বছর পদন্নতি পেয়ে এখন তিনি জ্বালানী খাতের নীতিনির্ধারক এবং প্রভাবশালীদের একজন। পেছনের এই গল্পটি পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর। জ্বালানী খাতের মতো এমন গুরুত্বপুর্ণ সেক্টরে এতবড় জালিয়াতির ঘটনায় হতবাক বিশ্লেষকরা।

১৯৯০ সালের ২২ আগস্ট ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাখার ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন আইয়ুব খান চৌধুরী। কয়েক মাসের মাথায় একলাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত হন তিনি। টাকা উদ্ধারে থানায় মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।ওই মামলায় তিন মাস জেল খাটেন আইয়ুব খান। পরে জামিনে বেড়িয়ে আত্মসাত করা টাকা ফিরিয়ে দিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপোষ করেন তিনি। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১৯৯১ সালের ৩০ জুন চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয় আইয়ুব খানকে।

চাঞ্চল্যকর এই তথ্যটি গোপন করেই ১৯৯৪ সালে পেট্রোবাংলার সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ বাগিয়ে নেন তিনি। এরপর বছর বছর পদন্নতি নিয়ে এখন তিনি প্রেট্রোবাংলার পরিচালক। অথচ কারিগরি এই পদটিতে আগে যারা ছিলেন তারা সবাই ইঞ্জিনিয়ার। আইয়ুবখানই প্রথম ব্যাক্তি যিনি পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন থেকে এসে দখলে রেখেছেন পরিকল্পনার মতো সম্পুর্ণ কারিগরি একটি বিভাগকে। পেট্রোবাংলার ফুটেজ ঢাকা থেকে সংযুক্ত হবে।

অর্থ অত্মসাতের অভিযোগের শুধু জেল খাটাই নয়। আইয়ুব খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, চাকরির আবেদনপত্রে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করেছেন উল্লেখ করলেও প্রতিষ্ঠানটিতে তার কোন নথি সংরক্ষিত নেই। এতে হতবাক বিশ্লেষকরা। বিতর্কিত এই কর্মকর্তা চাকরি জীবনে যত কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন তার সবগুলো ফের তদন্ত করার দাবি সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের।

বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে এসএটিভি’র পক্ষ থেকে আইয়ুব খানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর এমডি থাকাকালিন সময়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের দুই ছেলেকে নিয়োগ, ১১ কোটি টাকার জমি ১০৪ কোটি টাকায় ক্রয়, সংযোগ বাণিজসহ একাধিক তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রথমে টাকার বিনিময়ে সংবাদ প্রচার বন্ধ করার চেষ্টা করেন তিনি। সেখানে ব্যার্থ হয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে কয়েকজন সাবেক সরকারি আমলাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন মহলে দৌড়-ঝাপ করছেন আইয়ুব খান চৌধুরী। পেট্রোবাংলা ও কর্ণফূলীতে জ্ঞানপাপী আইয়ুব খানের তদবীরের খবর এখন সকলের মুখে মুখে। ফুটেজ-২ ও ৩

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চাঞ্চল্যকর তথ্য গোপন করে চাকরি নেন পেট্রোবাংলার আইয়ুব খান চৌধুরী

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

একটি বেসরকারি ব্যাংকের চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু। কয়েক মাসের মাথায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জেলে যান তিনি। তিন মাস জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে আত্মসাত করা টাকা ফিরিয়ে দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও সেই চাকরিতে আর ফেরা হয়নি। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য গোপন করেই চাকরি নেন পেট্রোবাংলার সহকারি ব্যবস্থাপক হিসেবে। কপালগুনে বছর বছর পদন্নতি পেয়ে এখন তিনি জ্বালানী খাতের নীতিনির্ধারক এবং প্রভাবশালীদের একজন। পেছনের এই গল্পটি পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর। জ্বালানী খাতের মতো এমন গুরুত্বপুর্ণ সেক্টরে এতবড় জালিয়াতির ঘটনায় হতবাক বিশ্লেষকরা।

১৯৯০ সালের ২২ আগস্ট ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাখার ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন আইয়ুব খান চৌধুরী। কয়েক মাসের মাথায় একলাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত হন তিনি। টাকা উদ্ধারে থানায় মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।ওই মামলায় তিন মাস জেল খাটেন আইয়ুব খান। পরে জামিনে বেড়িয়ে আত্মসাত করা টাকা ফিরিয়ে দিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপোষ করেন তিনি। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১৯৯১ সালের ৩০ জুন চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয় আইয়ুব খানকে।

চাঞ্চল্যকর এই তথ্যটি গোপন করেই ১৯৯৪ সালে পেট্রোবাংলার সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ বাগিয়ে নেন তিনি। এরপর বছর বছর পদন্নতি নিয়ে এখন তিনি প্রেট্রোবাংলার পরিচালক। অথচ কারিগরি এই পদটিতে আগে যারা ছিলেন তারা সবাই ইঞ্জিনিয়ার। আইয়ুবখানই প্রথম ব্যাক্তি যিনি পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন থেকে এসে দখলে রেখেছেন পরিকল্পনার মতো সম্পুর্ণ কারিগরি একটি বিভাগকে। পেট্রোবাংলার ফুটেজ ঢাকা থেকে সংযুক্ত হবে।

অর্থ অত্মসাতের অভিযোগের শুধু জেল খাটাই নয়। আইয়ুব খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, চাকরির আবেদনপত্রে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করেছেন উল্লেখ করলেও প্রতিষ্ঠানটিতে তার কোন নথি সংরক্ষিত নেই। এতে হতবাক বিশ্লেষকরা। বিতর্কিত এই কর্মকর্তা চাকরি জীবনে যত কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন তার সবগুলো ফের তদন্ত করার দাবি সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের।

বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে এসএটিভি’র পক্ষ থেকে আইয়ুব খানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর এমডি থাকাকালিন সময়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের দুই ছেলেকে নিয়োগ, ১১ কোটি টাকার জমি ১০৪ কোটি টাকায় ক্রয়, সংযোগ বাণিজসহ একাধিক তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রথমে টাকার বিনিময়ে সংবাদ প্রচার বন্ধ করার চেষ্টা করেন তিনি। সেখানে ব্যার্থ হয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে কয়েকজন সাবেক সরকারি আমলাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন মহলে দৌড়-ঝাপ করছেন আইয়ুব খান চৌধুরী। পেট্রোবাংলা ও কর্ণফূলীতে জ্ঞানপাপী আইয়ুব খানের তদবীরের খবর এখন সকলের মুখে মুখে। ফুটেজ-২ ও ৩