১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

চাঁদাবাজীর অভয়ারণ্য খাগড়াছড়ি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১
  • / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁদাবাজীর অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলা। পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টসহ জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে সড়কের ওপর বাঁশ বেঁধে আবার কোথাও স্পীড ব্রেকার দিয়ে আদায় করা হচ্ছে ইচ্ছামাফিক চাঁদা। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ডাক, ডকুমেন্ট ও পার্শ্বেলবাহী জরুরী সার্ভিসসহ পণ্যবাহী গাড়ি । চাঁদাবাজদের দাবি,ওপর মহলের আশীর্বাদ থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও ক্ষমতা নেই তাদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার।

খাগড়াছড়ির চেঙ্গী ব্রীজের মাথায় ছোট্ট এই ঘরটি পৌরসভার স্ব-ঘোষিত টোলকেন্দ্রে হিসেবে পরিচিত। মহাসড়কের ওপর রীতিমতো স্পীড ব্রেকার দিয়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টাই চলছে এই অবৈধ চাঁদাবাজী। ক’দিন আগে গাড়ি প্রতি চাঁদা আদায় করা হলেও সাম্প্রতি পার্বত্য এলাকায় মৌসুমী ফল আর কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ায় এখন চাঁদা আদায় করা হচ্ছে পণ্যের ওপর। এতে গাড়ি প্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে টোলের নামে চাঁদা দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

গেল সপ্তায় দুই ঘন্টা স্ব-ঘোষিত এই টোলবক্সের ওপর নজর রাখে এসএটিভি। এতে অর্ধশতাধিক পণ্যবাহী পরিবহন থেকে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা তোলার দৃশ্য ক্যমেরাবন্দী হয় অনায়াসে। চাঁদাবাজদের দাবি জেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের চার গ্রুপের নেতাকর্মীরা কথিত এই টোল প্লাজাটি পরিচালনা করেন।

অথচ পৌরসভাগুলোর ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত টোল আদায়ের নীতিমালা অনুযায়ী নতুন কোন টোল বা কর আদায় করতে হলে অবশ্যই সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে টোলের হার গেজেট আকারে প্রকাশ করে তা কার্যকর করতে হবে। তবে খাগড়াছড়িতে এসব আইন কানুনের ধার ধারে না কেউ। এমনকি পৌর মেয়রও স্ব-প্রনেদিত হয়ে চাঁদাবাজদের পক্ষেই সাফাই গাইলেন।

ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব বলছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সব সম্ভাবনার এখন প্রধান প্রতিবন্ধকতা স্ব-ঘোষিত টোল ও ট্যাক্সের নামে অবৈধ চাঁদাবাজী। যা বন্ধ না হলে পিছিয়ে পড়া এই জনগোস্টি অগ্রসর হতে পারবে না কখনোই।

এদিকে অবৈধ এই টোল ট্যাক্স আদায়কারী চাঁদাবাজরা গেল ১৫ দিনে বেশ কয়েকবার এস.এ পরিবহনের মতো জরুরী ডাকবাহী পার্শ্বেল ও কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যান আটকে চাঁদাবাজির অপচেষ্টা চালিয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চাঁদাবাজীর অভয়ারণ্য খাগড়াছড়ি

আপডেট সময় : ০৫:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

চাঁদাবাজীর অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলা। পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টসহ জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে সড়কের ওপর বাঁশ বেঁধে আবার কোথাও স্পীড ব্রেকার দিয়ে আদায় করা হচ্ছে ইচ্ছামাফিক চাঁদা। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ডাক, ডকুমেন্ট ও পার্শ্বেলবাহী জরুরী সার্ভিসসহ পণ্যবাহী গাড়ি । চাঁদাবাজদের দাবি,ওপর মহলের আশীর্বাদ থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও ক্ষমতা নেই তাদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার।

খাগড়াছড়ির চেঙ্গী ব্রীজের মাথায় ছোট্ট এই ঘরটি পৌরসভার স্ব-ঘোষিত টোলকেন্দ্রে হিসেবে পরিচিত। মহাসড়কের ওপর রীতিমতো স্পীড ব্রেকার দিয়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টাই চলছে এই অবৈধ চাঁদাবাজী। ক’দিন আগে গাড়ি প্রতি চাঁদা আদায় করা হলেও সাম্প্রতি পার্বত্য এলাকায় মৌসুমী ফল আর কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ায় এখন চাঁদা আদায় করা হচ্ছে পণ্যের ওপর। এতে গাড়ি প্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে টোলের নামে চাঁদা দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

গেল সপ্তায় দুই ঘন্টা স্ব-ঘোষিত এই টোলবক্সের ওপর নজর রাখে এসএটিভি। এতে অর্ধশতাধিক পণ্যবাহী পরিবহন থেকে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা তোলার দৃশ্য ক্যমেরাবন্দী হয় অনায়াসে। চাঁদাবাজদের দাবি জেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের চার গ্রুপের নেতাকর্মীরা কথিত এই টোল প্লাজাটি পরিচালনা করেন।

অথচ পৌরসভাগুলোর ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত টোল আদায়ের নীতিমালা অনুযায়ী নতুন কোন টোল বা কর আদায় করতে হলে অবশ্যই সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে টোলের হার গেজেট আকারে প্রকাশ করে তা কার্যকর করতে হবে। তবে খাগড়াছড়িতে এসব আইন কানুনের ধার ধারে না কেউ। এমনকি পৌর মেয়রও স্ব-প্রনেদিত হয়ে চাঁদাবাজদের পক্ষেই সাফাই গাইলেন।

ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব বলছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সব সম্ভাবনার এখন প্রধান প্রতিবন্ধকতা স্ব-ঘোষিত টোল ও ট্যাক্সের নামে অবৈধ চাঁদাবাজী। যা বন্ধ না হলে পিছিয়ে পড়া এই জনগোস্টি অগ্রসর হতে পারবে না কখনোই।

এদিকে অবৈধ এই টোল ট্যাক্স আদায়কারী চাঁদাবাজরা গেল ১৫ দিনে বেশ কয়েকবার এস.এ পরিবহনের মতো জরুরী ডাকবাহী পার্শ্বেল ও কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যান আটকে চাঁদাবাজির অপচেষ্টা চালিয়েছে।