১১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

চট্টগ্রামে একের পর এক উদ্ধার করা হচ্ছে ভয়ঙ্কর মাদক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
  • / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামে একের পর এক উদ্ধার করা হচ্ছে ভয়ঙ্কর মাদক ক্রিস্টালম্যাথ বা আইস। গেল ৬ মাসের ব্যবধানে ছোট-বড় অসংখ্য চালান আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের দাবি, ধনী ব্যক্তিদের মাদকাসক্ত সন্তানদের টার্গেট করেই মিয়ানমার থেকে ভয়ঙ্কর এই নেশাদ্রব্য আনছে মাদক কারবারিরা। আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের সান প্রদেশ থেকে উৎপাদিত বাহারী নামের ভয়াবহ এই মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে জাতিসংঘের এন্টি ড্রাগ ইউনিটকে সংযুক্ত করতে কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে।

মাদকের জগতে দীর্ঘ দিন ধরেই রাজত্ব করছে গোলাপী রংয়ের ছোট্ট এই ইয়াবা ট্যাবলেট। কিন্তু নতুন করে আলোচনায় ক্রিস্টাল ম্যাথ বা আইস। ম্যাথামকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে উৎপাদন করা হয় ইয়াবা ও ক্রিস্টালম্যাথ। তবে ইয়াবায় ম্যাথামের পরিমাণ থাকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বিপরীতে ক্রিস্টালম্যাথে থাকে শতভাগ। তাই ইয়াবার চেয়েও দ্রুত এই মাদকের বিস্তার ছড়িয়ে পরার আশংকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এমনকি চিহ্নিত সব মাদক কারবারির ওপর নজরদারি করেও সুফল মিলছে না।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নিত্যনতুন বিলাসবহুল এ সব মাদকের উৎপাদন হয় আফগানিস্তান আর মিয়ানমারের সান প্রদেশে। মূলত বাংলাদেশের বাজারে মিয়ানমারের মাদকই বেশি। তাই এটাকে রোধ করতে হলে আন্তর্জাতিক মাদক প্রতিরোধ ইউনিটকে আন্তর্ভুক্ত করার বিকল্প নেই।

আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, মাদক নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ পর্যন্ত ৫ বার তাদের সঙ্গে এই ইস্যুতে বৈঠক হলেও আশার বানী ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।

মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইনের সঙ্গে স্মরণকালে সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে ইয়াবার। এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হওয়ায় নতুন মাদক ক্রিস্টাল ম্যাথের বিস্তার ঘটাতে মরিয়া মাদক কারবারিরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামে একের পর এক উদ্ধার করা হচ্ছে ভয়ঙ্কর মাদক

আপডেট সময় : ০২:০৬:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১

চট্টগ্রামে একের পর এক উদ্ধার করা হচ্ছে ভয়ঙ্কর মাদক ক্রিস্টালম্যাথ বা আইস। গেল ৬ মাসের ব্যবধানে ছোট-বড় অসংখ্য চালান আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের দাবি, ধনী ব্যক্তিদের মাদকাসক্ত সন্তানদের টার্গেট করেই মিয়ানমার থেকে ভয়ঙ্কর এই নেশাদ্রব্য আনছে মাদক কারবারিরা। আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের সান প্রদেশ থেকে উৎপাদিত বাহারী নামের ভয়াবহ এই মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে জাতিসংঘের এন্টি ড্রাগ ইউনিটকে সংযুক্ত করতে কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে।

মাদকের জগতে দীর্ঘ দিন ধরেই রাজত্ব করছে গোলাপী রংয়ের ছোট্ট এই ইয়াবা ট্যাবলেট। কিন্তু নতুন করে আলোচনায় ক্রিস্টাল ম্যাথ বা আইস। ম্যাথামকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে উৎপাদন করা হয় ইয়াবা ও ক্রিস্টালম্যাথ। তবে ইয়াবায় ম্যাথামের পরিমাণ থাকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বিপরীতে ক্রিস্টালম্যাথে থাকে শতভাগ। তাই ইয়াবার চেয়েও দ্রুত এই মাদকের বিস্তার ছড়িয়ে পরার আশংকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এমনকি চিহ্নিত সব মাদক কারবারির ওপর নজরদারি করেও সুফল মিলছে না।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নিত্যনতুন বিলাসবহুল এ সব মাদকের উৎপাদন হয় আফগানিস্তান আর মিয়ানমারের সান প্রদেশে। মূলত বাংলাদেশের বাজারে মিয়ানমারের মাদকই বেশি। তাই এটাকে রোধ করতে হলে আন্তর্জাতিক মাদক প্রতিরোধ ইউনিটকে আন্তর্ভুক্ত করার বিকল্প নেই।

আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, মাদক নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ পর্যন্ত ৫ বার তাদের সঙ্গে এই ইস্যুতে বৈঠক হলেও আশার বানী ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।

মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইনের সঙ্গে স্মরণকালে সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে ইয়াবার। এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হওয়ায় নতুন মাদক ক্রিস্টাল ম্যাথের বিস্তার ঘটাতে মরিয়া মাদক কারবারিরা।