০৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

খুলনাঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে চিংড়ি রফতানিকারকরা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার কারণে গত বছর খুলনাঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে চিংড়ি রফতানিকারকরা। চাষি, ফড়িয়া, আড়ৎদারও কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।পানির দরেই বিক্রি করতে হয়েছে উৎপাদিত চিংড়ি। এখন নতুন বাজার খুঁজছে ব্যবসায়ীরা। বিনাসুদে সরকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করেন তারা।

খুলনাঞ্চলে ক্ষতির মুখে চিংড়ি রপ্তানিকারক খাত করোনার কারণে চাষি, ফড়িয়া, আড়ৎদার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
করোনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে ইউরোপের বাজার হারিয়েছে খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি। গত এক বছরে প্রায় সাড়ে চার’শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন নতুন বাজার খুঁজছে ব্যবসায়ীরা। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

আন্তর্জাতিক বাজার না পাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ে চিংড়ি চাষিরা। সাত’শ টাকা কেজি দরের চিংড়ি বাধ্য হয়ে তিন’শ টাকায় বিক্রি করেছে ব্যবসায়ীরা। এ অঞ্চলের চাষি, ফড়িয়া, আড়ৎদার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান, সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে বাজারে ২০ গ্রেডের চিংড়ি প্রতি কেজির দাম সাড়ে পাঁচ’শ থেকে ছ’শ টাকায় নেমেছে। আগে সাত’শ থেকে সাত’শ ৩০ টাকায় বিক্রি হতো। প্রতি কেজি চিংড়ি উৎপাদনে পাঁচ’শ টাকার মতো খরচ হয়। জেলার ৭০ হাজার চাষি এখন লোকসানের শঙ্কায় রয়েছে। বিনা সুদে সরকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করেন তারা।

আগে খুলনাঞ্চল থেকে ২০ কন্টেইনার চিংড়ি রফতানি হতো। এখন হচ্ছে পাঁচ কন্টেইনার। অক্টোবর মাসে গলদা চিংড়ির মৌসুমে এক’শো থেকে দেড়’শো কন্টেইনার চিংড়ি রফতানির কথা ছিলো। কিন্তু, করোনার কারনে তা আর হয়নি। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে সীফুড বায়িং এজেন্টরা।

ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতারাও গত ফেব্রুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত ২৯০টি ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে বলে জানায়, ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।খুলনাঞ্চলে দু’লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ করে তিন লাখ চাষি। আর, বৃহত্তর খুলনায় হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৮টি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

খুলনাঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে চিংড়ি রফতানিকারকরা

আপডেট সময় : ০২:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১

করোনার কারণে গত বছর খুলনাঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে চিংড়ি রফতানিকারকরা। চাষি, ফড়িয়া, আড়ৎদারও কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।পানির দরেই বিক্রি করতে হয়েছে উৎপাদিত চিংড়ি। এখন নতুন বাজার খুঁজছে ব্যবসায়ীরা। বিনাসুদে সরকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করেন তারা।

খুলনাঞ্চলে ক্ষতির মুখে চিংড়ি রপ্তানিকারক খাত করোনার কারণে চাষি, ফড়িয়া, আড়ৎদার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
করোনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে ইউরোপের বাজার হারিয়েছে খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি। গত এক বছরে প্রায় সাড়ে চার’শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন নতুন বাজার খুঁজছে ব্যবসায়ীরা। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

আন্তর্জাতিক বাজার না পাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ে চিংড়ি চাষিরা। সাত’শ টাকা কেজি দরের চিংড়ি বাধ্য হয়ে তিন’শ টাকায় বিক্রি করেছে ব্যবসায়ীরা। এ অঞ্চলের চাষি, ফড়িয়া, আড়ৎদার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান, সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে বাজারে ২০ গ্রেডের চিংড়ি প্রতি কেজির দাম সাড়ে পাঁচ’শ থেকে ছ’শ টাকায় নেমেছে। আগে সাত’শ থেকে সাত’শ ৩০ টাকায় বিক্রি হতো। প্রতি কেজি চিংড়ি উৎপাদনে পাঁচ’শ টাকার মতো খরচ হয়। জেলার ৭০ হাজার চাষি এখন লোকসানের শঙ্কায় রয়েছে। বিনা সুদে সরকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করেন তারা।

আগে খুলনাঞ্চল থেকে ২০ কন্টেইনার চিংড়ি রফতানি হতো। এখন হচ্ছে পাঁচ কন্টেইনার। অক্টোবর মাসে গলদা চিংড়ির মৌসুমে এক’শো থেকে দেড়’শো কন্টেইনার চিংড়ি রফতানির কথা ছিলো। কিন্তু, করোনার কারনে তা আর হয়নি। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে সীফুড বায়িং এজেন্টরা।

ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতারাও গত ফেব্রুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত ২৯০টি ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে বলে জানায়, ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।খুলনাঞ্চলে দু’লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ করে তিন লাখ চাষি। আর, বৃহত্তর খুলনায় হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৮টি।