১০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

একের পর এক আয়নাবাজির মতো ঘটনা ঘটছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
  • / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একের পর এক আয়নাবাজির মতো ঘটনা ঘটছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। নির্দোষ হয়েও বছরের পর বছর ধরে কারাভোগ করছেন অনেকে। কেউ-বা তদন্ত কর্মকর্তার ভুলে বাধ্য হয়ে, আবার কেউ-বা অভাবের তাড়নায় টাকার বিনিময়ে অন্যের অপরাধের বোঝা মাথায় নিচ্ছেন স্বেচ্ছায়। আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, প্রকৃত অপরাধীদের পার পাইয়ে দিতে এমন একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে দেশজুড়ে।

২০০৬ সালে স্বামীর পরকীয়ার জের ধরে গার্মেন্টস কর্মী পারভিন আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করে কুলসুম আক্তার। বিচারাধীন সেই মামলায় ১৬ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পায় সে। ১১ বছর ধরে বিচার প্রক্রিয়াশেষে ২০১৭ সালে যবজ্জীবন সাজা হয় তার। কিন্তু সাজা হওয়ার পর কুলসুম সাজিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় মিনু আক্তারকে। বিচার বিভাগ কিংবা কারা কর্তৃপক্ষের কেউই শনাক্ত করেনি মিনুকে। অথচ কারাগারের বালাম বইয়ে কুলসুমের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকার কথা।

একজন আইনজীবী বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আনলে গত ১৬ জুন নিরপরাধ মিনু আক্তার জামিনে মুক্তি পান। সবশেষ বুধবার ওই মামলার মুল আসামী কুলসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিনুর আইনজীবীর ধারণা, অপরাধীদের পার পাইয়ে দিতে এমন প্রক্রিয়ার সাথে নেপথ্যে জড়িত একটি শক্তিশালী চক্র।

আর মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মিনু আক্তারের আগে ঢাকায় জাহা-আলমসহ এমন বেশকিছু ঘটনায় একসময় তোলপাড় চলেছে দেশজুড়ে। এমন ঘটনা চলতে থাকলে উৎসাহিত হবে অপরাধীরা।

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কোন মামলার আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর পর থেকে বিষয়টির সঙ্গে পুলিশের আর সরাসরি সম্পর্ক থাকে না। তাই আসামীর কারাগারের অবস্থান, জামিন প্রক্রিয়া ও আদালতে হাজিরার প্রক্রিয়াটি অনেকটাই থাকে অরক্ষিত। আর এই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করছে প্রভাবশালী অপরাধীরা।

ডিজিটাল যুগেও কারাগারে আসামীদের রক্ষণাবেক্ষণ, আদালতে হাজিরা সবই করা হয় মান্ধাতা আমলের গণনা পদ্ধতিতে। এর আধুনিকায়ন না ঘটলে এমন আয়নাবাজির ঘটনা ঘটতেই থাকবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

একের পর এক আয়নাবাজির মতো ঘটনা ঘটছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১

একের পর এক আয়নাবাজির মতো ঘটনা ঘটছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। নির্দোষ হয়েও বছরের পর বছর ধরে কারাভোগ করছেন অনেকে। কেউ-বা তদন্ত কর্মকর্তার ভুলে বাধ্য হয়ে, আবার কেউ-বা অভাবের তাড়নায় টাকার বিনিময়ে অন্যের অপরাধের বোঝা মাথায় নিচ্ছেন স্বেচ্ছায়। আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, প্রকৃত অপরাধীদের পার পাইয়ে দিতে এমন একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে দেশজুড়ে।

২০০৬ সালে স্বামীর পরকীয়ার জের ধরে গার্মেন্টস কর্মী পারভিন আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করে কুলসুম আক্তার। বিচারাধীন সেই মামলায় ১৬ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পায় সে। ১১ বছর ধরে বিচার প্রক্রিয়াশেষে ২০১৭ সালে যবজ্জীবন সাজা হয় তার। কিন্তু সাজা হওয়ার পর কুলসুম সাজিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় মিনু আক্তারকে। বিচার বিভাগ কিংবা কারা কর্তৃপক্ষের কেউই শনাক্ত করেনি মিনুকে। অথচ কারাগারের বালাম বইয়ে কুলসুমের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকার কথা।

একজন আইনজীবী বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আনলে গত ১৬ জুন নিরপরাধ মিনু আক্তার জামিনে মুক্তি পান। সবশেষ বুধবার ওই মামলার মুল আসামী কুলসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিনুর আইনজীবীর ধারণা, অপরাধীদের পার পাইয়ে দিতে এমন প্রক্রিয়ার সাথে নেপথ্যে জড়িত একটি শক্তিশালী চক্র।

আর মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মিনু আক্তারের আগে ঢাকায় জাহা-আলমসহ এমন বেশকিছু ঘটনায় একসময় তোলপাড় চলেছে দেশজুড়ে। এমন ঘটনা চলতে থাকলে উৎসাহিত হবে অপরাধীরা।

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কোন মামলার আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর পর থেকে বিষয়টির সঙ্গে পুলিশের আর সরাসরি সম্পর্ক থাকে না। তাই আসামীর কারাগারের অবস্থান, জামিন প্রক্রিয়া ও আদালতে হাজিরার প্রক্রিয়াটি অনেকটাই থাকে অরক্ষিত। আর এই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করছে প্রভাবশালী অপরাধীরা।

ডিজিটাল যুগেও কারাগারে আসামীদের রক্ষণাবেক্ষণ, আদালতে হাজিরা সবই করা হয় মান্ধাতা আমলের গণনা পদ্ধতিতে। এর আধুনিকায়ন না ঘটলে এমন আয়নাবাজির ঘটনা ঘটতেই থাকবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।