খুলনায় ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়নে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে দলীয়ভাবে নির্বাচনে না আসলেও বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রথম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩৫টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তির স্থান পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ তালিকায় রয়েছে বিএনপি-জামায়াত নেতার ভাই, একাধিক মামলার আসামি, দুর্নীতির অভিযোগে অপসারিত চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য।

যোগিপল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আনিছুর রহমান। গতবার নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হলেও অনিয়মের অভিযোগে মন্ত্রণালয় তার পদ শুন্য করে দেয়। তিনিই পুনরায় মনোনয়ন পাওয়ায় শনিবার রাত থেকে বিক্ষোভ করে আসছে নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে মহারাজপুর ইউনিয়নের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যাক্তি জনবিচ্ছিন্ন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মনোনয়ন প্রাপ্তরা বলছেন, স্থানীয় রাজনীতির গ্রুপিং এর কারণে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে।

অপরদিকে, নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত জোট অংশগ্রহণ করার কথা না বললেও তাদের প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বলেন,তদন্ত রিপোর্টে যথাযথভাবে তথ্যপ্রমাণ না থাকায় দুই একজন বিতর্কিত নৌকার প্রতীক পেয়েছে।তবে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাদের জন্য খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মকান্ড পরিচালিত করবে।

১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে খুলনায় ৩১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হবে। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ২৬টি ইউনিয়নে প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে।বিএনপি ও জামায়াত জোটগত ভাবে প্রার্থী ঘোষণা না দিলেও তাদের নেতা কর্মীরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন।