করোনার মধ্যেও খুলনা বিভাগে বেড়েছে নারীর ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষণের ঘটনা
- আপডেট সময় : ০২:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যেও খুলনা বিভাগে বেড়েছে নারীর ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষণের ঘটনা। খুলনা মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সার্র্ভিসে (ওসিসি) গত তিন মাসে বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছে ৮৬ জন নারী ও শিশু।এর মধ্যে সাড়ে চার বছরের শিশু থেকে শুরু করে ষাট বছরের বৃদ্ধাও রয়েছে।
পাশবিক নির্যাতনের ৫ মাস পর নৃশংস ঘটনার বর্ণনা দিলেন খুলনার এক গৃহবধূ। মে মাসে রোজার সময়ে নিজ ঘরে, ৫ বছরের নিজ সন্তানের সামনে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন এই নারী। এখনো ৫ বছরের পুত্র সন্তান ও স্বামী নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।এই ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হয় তিন আসামি। আর এক আসামি জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
শুধু এই গৃহবধূ নয় খুলনা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্পট ক্রাইসিস সেন্টার -ওসিসি, যেখানে ধর্ষনসহ নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংতার চিকিৎসা ও আইনী সহায়তা প্রদান করা হয়। ওসিসির তথ্য মতে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টম্বর মাস পর্যন্ত ধর্ষণ ও শিশুর প্রতি শারীরীক নির্যাতনের হার অসাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসএ টিভিকে নারী নেত্রী শামীমা সুলতানা শিলু বলেন পুরোনো নতুন যত ধর্ষণ মামলা আছে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- নিশ্চিত করা গেলে অপরাধীরা ভয় পাবে। সমাজে এক ধরনের অপরাধীর যারা পাওয়ার পলিটিক্স করছে তাদের উপর রাষ্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই যার কারণে অপরাধ বেড়ে চলছে বলছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের জেলা সম্পাদক।
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড.খঃ মহিদ উদ্দিন এসএ টিভিকে বলেন, এ ধরনের কাজে অপরাধীকে শনাক্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সেটা কিন্তু গুরুত্বসহকারে করে থাকে পুলিশ। অপরাধ নিমূলে দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করলেই অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।