১২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

আমরা বাংলাদেশকে মৌলবাদী রাষ্ট্র বানাতে চাই না : ড. এম এ কাইয়ুম

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত ঢাকা-১১ আসনের প্রার্থী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম এ কাইয়ুম বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র বানাতে চাই না। আল্লাহ ভীরু মানুষকে দিয়ে অপরাধ সংঘটিত করা সম্ভব নয়। সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা থাকলে তার দ্বারা অপরাধ সংঘটিত হবে না, তার মধ্যে ভয় থাকবে- যে আল্লাহ্ দেখছেন।

আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর পশ্চিম রামপুরায় শেখ জনূরুদ্দীন র. দারুল কুরআন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. এম এ কাইয়ুম বলেন, “বিএনপি রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী। আগামীদিনে আমরা সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করবো। এই সমাজ থেকে সকল অপরাধ দূর করার পক্ষে লড়াই করে যাবো। এই দেশে গুম-খুন-হত্যা এসব অপসংস্কৃতিকে আর স্থান দেওয়া যাবে না।”

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এই সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র বানাতে চাই না। আমরা সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। সমাজের সকলে মিলেমিশে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।”

বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে ড. এম এ কাইয়ুম আরো বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন ইসলামিক মূল্যবোধ এবং জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে। ১৯৭৭ সালে তিনি সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম’, ‘দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে’ ও ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহের উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’- এই কথাগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছেন।”

ধর্মীয় শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষা একটি দেশ ও সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে একটি দেশ বা সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম দূর করা যায় না। আইন প্রয়োগ করে শুধুমাত্র অপরাধ কমানো যায়, কিন্তু বন্ধ করা যায় না। তাই প্রয়োজন সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা। কারণ, সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা থাকলে তার দ্বারা অপরাধ সংঘটিত হবে না, তারা মধ্যে ভয় থাকবে- যে আল্লাহ্ দেখছেন।”

এই দেশে ধর্ম চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এই দেশে যেভাবে ধর্মীয় চর্চা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো তা আর করতে দেওয়া হবে না। মাদ্রাসা থেকে শুরু করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সঠিক শিক্ষাদানের মাধ্যমেই এই দেশে থেকে অপরাধ বিতাড়িত করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের ইসলামের মূল শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আগামীতে প্রাইমারি শিক্ষায় আরো সুন্দরভাবে ধর্ম চর্চার সুযোগ করে দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ্।

হুজুরদের জঙ্গিবাদের ট্যাগ দিয়ে মারা হতো উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “বিগত সরকারের আমলে ইন্ডিয়ান ‘র’র যুক্তিতে হুজুরদেরকে জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে মারা হতো, অত্যাচার করা হতো। কারণ তারা জানে আল্লাহ ভীরু মানুষকে দিয়ে অপরাধ সংঘটিত হয় না, এমনকি তাদের সামনে অন্যকেউও এমন অপরাধ মূলক কার্যক্রম সংঘটিত করতে পারে না।”

এছাড়াও ঢাকা ১১ আসনের মাটি ও মানুষের নেতা ড. এম এ কাইয়ুম বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা সবাই ভোট দিতে যাবেন। নিজের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের নিয়ে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার রাস্তা প্রসারিত করে দিবেন।”

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আমরা বাংলাদেশকে মৌলবাদী রাষ্ট্র বানাতে চাই না : ড. এম এ কাইয়ুম

আপডেট সময় : ০৮:১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত ঢাকা-১১ আসনের প্রার্থী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম এ কাইয়ুম বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র বানাতে চাই না। আল্লাহ ভীরু মানুষকে দিয়ে অপরাধ সংঘটিত করা সম্ভব নয়। সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা থাকলে তার দ্বারা অপরাধ সংঘটিত হবে না, তার মধ্যে ভয় থাকবে- যে আল্লাহ্ দেখছেন।

আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর পশ্চিম রামপুরায় শেখ জনূরুদ্দীন র. দারুল কুরআন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. এম এ কাইয়ুম বলেন, “বিএনপি রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী। আগামীদিনে আমরা সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করবো। এই সমাজ থেকে সকল অপরাধ দূর করার পক্ষে লড়াই করে যাবো। এই দেশে গুম-খুন-হত্যা এসব অপসংস্কৃতিকে আর স্থান দেওয়া যাবে না।”

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এই সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র বানাতে চাই না। আমরা সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। সমাজের সকলে মিলেমিশে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।”

বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে ড. এম এ কাইয়ুম আরো বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন ইসলামিক মূল্যবোধ এবং জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে। ১৯৭৭ সালে তিনি সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম’, ‘দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে’ ও ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহের উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’- এই কথাগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছেন।”

ধর্মীয় শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষা একটি দেশ ও সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে একটি দেশ বা সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম দূর করা যায় না। আইন প্রয়োগ করে শুধুমাত্র অপরাধ কমানো যায়, কিন্তু বন্ধ করা যায় না। তাই প্রয়োজন সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা। কারণ, সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা থাকলে তার দ্বারা অপরাধ সংঘটিত হবে না, তারা মধ্যে ভয় থাকবে- যে আল্লাহ্ দেখছেন।”

এই দেশে ধর্ম চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এই দেশে যেভাবে ধর্মীয় চর্চা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো তা আর করতে দেওয়া হবে না। মাদ্রাসা থেকে শুরু করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সঠিক শিক্ষাদানের মাধ্যমেই এই দেশে থেকে অপরাধ বিতাড়িত করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের ইসলামের মূল শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আগামীতে প্রাইমারি শিক্ষায় আরো সুন্দরভাবে ধর্ম চর্চার সুযোগ করে দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ্।

হুজুরদের জঙ্গিবাদের ট্যাগ দিয়ে মারা হতো উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “বিগত সরকারের আমলে ইন্ডিয়ান ‘র’র যুক্তিতে হুজুরদেরকে জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে মারা হতো, অত্যাচার করা হতো। কারণ তারা জানে আল্লাহ ভীরু মানুষকে দিয়ে অপরাধ সংঘটিত হয় না, এমনকি তাদের সামনে অন্যকেউও এমন অপরাধ মূলক কার্যক্রম সংঘটিত করতে পারে না।”

এছাড়াও ঢাকা ১১ আসনের মাটি ও মানুষের নেতা ড. এম এ কাইয়ুম বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা সবাই ভোট দিতে যাবেন। নিজের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের নিয়ে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার রাস্তা প্রসারিত করে দিবেন।”