৪৮ বছরেও পিতা’র শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাননি হতভাগা দু’ভাইবোন
- আপডেট সময় : ০৭:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
একাত্তরের ৫ ডিসেম্বর হানাদার পাকিস্তানীদের বিমান হামলায় বাবা-মাসহ একসঙ্গে পরিবারের ৫ সদস্যকে হারান ঝিনাইদহের গিলাবাড়ীয়া গ্রামের দুই ভাইবোন- মিজানুর রহমান ও চায়না বেগম। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষরিত শোকবার্তা ও অনুদানের অর্থ পান তারা। কিন্তু এরপরও গেল ৪৮ বছর পিতা মোকছেদুর রহমানের শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি হতভাগা এই ভাইবোন। বিষয়টি নিয়ে প্রথম গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে এসএ টিভি। সম্প্রচারিত ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে আজ মিজানুর রহমানের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিঙ্কন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মোকছেদুর রহমানের স্বীকৃতি আদায়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারের কারণে এসএ টিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তারা।
বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও মনের জোরকে পুঁজি করে এগিয়ে আসা মানুষটির নাম মিজানুর রহমান। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে স্বীকৃতির দাবীতে পুত্র শাহিনকে সঙ্গে হাইকোর্টে আসেন ঝিনাইদহের গিলবাড়ীয়া গ্রামের এই বাসিন্দা। এসময় তার হাতে ছিল ১৯৭২ সালের ৬ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত এই চিঠি। যেখানে দেখা যায় মুক্তিযুদ্ধে বাবামা সহ স্বজন হারানোর কারণে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে অর্থের অনুদান দেয়া হয় ।
চলতি বছর ৭ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা এই পরিবারটি নিয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচার করে এসএ টিভি। যেখানে তুলে ধরা হয় একাত্তরের ৫ ডিসেম্বর একসঙ্গে ৫ স্বজনকে হারিয়ে আজও পিতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির অপেক্ষায় দিন পার করছে অসহায় এই পরিবারটি।
অনেক হতাশার পর এসএ টিভির প্রতিবেদন তাদের অধিকার আদায়ে নতুন করে আশার সঞ্চচার করেছে বলেও জানান তারা।
হতভাগা পরিবারটির পক্ষে সোমবার হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিঙ্কন। এসময় তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনি নোটিশ দেয়ার পরও ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে আজ এই রিট করা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে দায়ের করা রিটের শুনানি হবে বলেও জানান এই আইনজীবী।