চাঁদপুরে ২ জনসহ টাঙ্গাইল ও পটুয়াখালীতে জ্বর, বমি ও গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই সাথে মৃতব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

চাঁদপুরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আরো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের একজনের বাড়ি সদর উপজেলার কমলাপুর, অন্যজনের শাহরাস্তি উপজেলার নিরংপুর গ্রামে। একজন ৩০ বছরের যুবক।তিনি পেশায় অটো রিক্সা চালক ছিলেন।অন্যজন ৫ বছরের শিশু।এই পর্যন্ত চাঁদপুরে জীবিত এবং মৃত মিলে ১০ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আর, গত ১০ দিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে চার জন।

টাঙ্গাইলের সখীপুরে জ্বর, গলাব্যথায় ভুগে এবং বমি করে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত আটটায় উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ঘোনারচালা উত্তরপাড়ায় তাঁর মৃত্যু হয়। করোনা সন্দেহে রাত ১০টার দিকে ওই নারীর মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দল।আইইডিসিআর থেকে প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত ওই বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান বলেন, মৃত গৃহবধূর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। সখীপুরে এ পর্যন্ত করোনা সন্দেহে ৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

পটুয়াখালী ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি থাকা এক নারী বৃহস্পতিবার ভোরে মারা গেছে। গতকাল পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া ওই নারীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম শিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।