মাত্র ২০ দিনে চারটি নবজাতক শিশু চুরির ঘটনায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জে। চুরি যাওয়া শিশু উদ্ধার ও জড়িতদের আটক করার পরও, স্বস্তিতে নেই অভিভাবকরা। এসব ঘটনার সাথে নির্দিষ্ট কোনো চক্র জড়িত নয় বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার।

ঠান্ডাজনিত সমস্যা থাকায় সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৩দিন বয়সী মাহিমকে ভর্তি করেন উল্লাপাড়ার চয়ন-শারমিন দম্পতি। ২৩’ফেব্রুয়ারি চুরি হয়ে যায় শিশু পুত্রটি। পাঁচ দিন পর হাটিকুমরুল গোলচত্বরে এক বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নেয়ার ছ’ঘণ্টা পর চুরি হয় নবজাতক সামিউল। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওইদিন রাতেই জেলার আলোকদিয়া গ্রামে ধানের কোলা থেকে মৃত মাহিম ও নি:সন্তান আল্পনা খাতুনের কাছে থেকে সামিউলকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় আল্পনার বাবা-মা-ভাই-বোনসহ আটজনকে আটক করা হয়। স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজনের অবজ্ঞা থেকে রেহাই পেতে চুরি করেছে বলে জানায় পুলিশ।

কামারখন্দের বারাকান্দি এলাকা থেকে চুরি হওয়া ২৩ দিন বয়সী আলিফকে, সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যেই শহরের বরগোলা পট্টি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ১৪ মার্চ সদর উপজেলার বহুলীর কদমপাল গ্রামের নিজ বাড়ি ধেকে চুরি যাওয়া আড়াই মাসের ছোঁয়ামনিকেও পাঁচ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করে তারা। এসব ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা।অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেছেন অভিবাবকরা। সহায়তাকারীদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান কামারখন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান।

এ ধরনের ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার ও পুরো ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় আনার উদ্যোগের কথা জানান, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক। তবে, এর সাথে নিদিষ্ট কোনো চক্র জড়িত নয় বলে দাবি করেন, পুলিশ সুপার। এসব অপরাধীদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সিরাজগঞ্জবাসী।