সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী উপজেলা তাহিরপুরের লাউয়েরগড় এলাকার মনিগাঁওয়ে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিমুলবাগান। যাতায়াত ব্যবস্থা ও পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে এটি হতে পারে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এছাড়া বাংলার কাশ্মীর-খ্যাত নীলাদ্রি, যাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিনের মাজার, বারেকের টিলাসহ আরো অনেক দর্শনীয় স্থান থাকায় এটি হতে পারে পর্যটন শিল্পের এক সম্ভাবনাময় খাত। এমনটাই মনে করেন ভ্রমণ পিপাসুরা।

সারি সারি সহস্রাধিক গাছের ডালে ডালে আগুনরঙা রক্তলাল শিমুল ফুলের রক্তিম আভার ঝলকানিতে বসন্ত যেন সেজে আছে ভালোবাসার রঙে!
এমন অপরূপ দৃশ্য মুহুর্তেই রাঙিয়ে দেয় কর্মব্যস্ত মনকে, হিন্দোলে তরঙ্গায়িত হয় শরির মন দুটোই! ৩৩ একর জমিতে দুই হাজারের বেশি শিমুলগাছে পূর্ণ দেশের সবচেয়ে বৃহৎ এই শিমুল বাগানে বসন্ত এলেই ফুটতে শুরু করে ফুল। শিমুল ফুলের রাজ্য- সুনামগঞ্জের শিমুলবাগানের এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষ। পর্যটকদের দাবি-যাতায়াত ব্যবস্থা ও পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করলে এটি হতে পারে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

সুনামগঞ্জ শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে জাদুকাটা নদীর তীরে শিমুল বাগানের অবস্থান। শুষ্ক মৌসুমে বাগানটির চারদিকে থাকে ধু ধু বালুর চর।
এই বালুমাটিতে ২০০৩ সালে বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন গড়ে তোলেন শিমুল বাগান।

যে দিকে চোখ যায় সারি সারি শিমুল গাছ আর লাল রঙের শিমুল। ওপারে ভারতের মেঘালয় পাহাড়, মাঝে যাদুকাটা নদী আর এপাড়ে শিমুল বাগান। সব মিলে মিশে গড়ে তুলেছে প্রকৃতির এক অনবদ্য কাব্য।

প্রতিদিন কয়েকজনের গ্রুপ করে পরিবার পরিজনদের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক দলের মিলনমেলার আয়োজনে মিলিত হন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজারো মানুষ।

রাস্তাঘাট সহ পর্যটকদের সার্বিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবি ঘুরতে আসা পর্যটকদের।

বাগান কর্তৃপক্ষ জানালেন সম্ভাবনাময় এই পর্যটন এলাকা যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন মহলে আবেদন জানানো হয়েছে।

শিমুল বাগান এলাকার আশেপাশেই বাংলার কাশ্মির খ্যাত নীলাদ্রি, যাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিন-এর মাজার,বারেক এর টিলাসহ আরো অনেক দর্শনীয় স্থান হতে পারে পর্যটন শিল্পের এক সম্ভাবনাময় খাত,এমনটাই মনে করছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।