সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ডের ১৬ বছর পূর্ণ হলো আজ। দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা ভয়ানক এ হত্যান্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সাক্ষি না আসা, আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় হাজির না হওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতায় তা বিলম্বিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বিচার নিয়ে এখনও অনিয়শ্চয়তা কাটছেনা নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়দের।

২০০৫ সালের এ দিনেই হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ নিহত হন ৫ জন। এতে আহত হন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু জাহির এমপিসহ প্রায় ৭০ জন।

এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দু’টিতে ৩২ জন আসামীর মধ্যে ১০ জন জামিনে, ৮ জন পলাতক ও ১৪ জন কারাগারে আটক আছেন। দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় ৫ বছর পূর্বে। ১৭১ জনের মাঝে হত্যা মামলাটিতে সাক্ষি দিয়েছেন মাত্র ৪৩ জন। যথা সময়ে সাক্ষী না আসাসহ বিভিন্ন জটিলতায় মামলার কর্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বিচার নিয়ে এখনও অনিয়শ্চয়তা কাটছেনা নিহতদের পরিবারের।

দীর্ঘ সময়েও বিচার না হওয়ায় হতাশ নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। বিচার নিয়ে হতাশার কথা জানালেন নিহত শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। আইনী জটিলতার কারণে বিচার বিলম্ববিত হচ্ছেন তবে এ সরকারের আমলেই বিচার শেষ হবে বলে মনে করেন মামলার বাদী মামলার রায় কবে হবে সে নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানালেন মামলার আইনজীবী। ১৫ বছরেও বিচার না হওয়ায় হতাশ অনেকে। বর্তমান সরকারের আমলেই এ হত্যাকান্ডের বিচার চান এলাকাবাসী।