সরকারি সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করেছেন হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০৮:৫৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫১৫ বার পড়া হয়েছে
করোনা টিকার সনদ ছাড়া রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না বলে নেয়া সরকারি সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করেছেন হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা। একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দিতে ও কর্পোরেট স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেও দাবি করেন তারা। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে চরম ক্ষতির আশংকা করছেন সাধারণ রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা। এতে দুর্নীতি বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তারা। বিস্তারিত মাঈন উদ্দিন আরিফের প্রতিবেদনে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর নড়েচড়ে বসেছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। অভিজাত রেস্তোরাঁগুলো বিষয়টি জানলেও, জানেন না মধ্যম বা সাধারণ মানের রেস্তোরাঁগুলো।
রেস্তোরাঁগুলোতে খেতে আসা কেউ কেউ সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, শতভাগ টিকা নিশ্চিত করার আগে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি বলে মনে করেন বেশিরভাগ ভোক্তা।
রেঁস্তোরা মালিকরা বলছেন, বাংলাদেশ- ইউরোপ-আমেরিকা নয়। এদেশে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিলে রেস্তোরা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
এদিকে সরকার ই-হোটেল রেস্তোরাঁ ও টীকা-ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দাবি করে মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, বিধিনিষেধ মানায় হোটেল-রেস্তোরা করোনা ছড়ায় না।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এককভাবে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক মানের হোটেল ব্যবসাও এর ফলে হুমকির মুখে পড়বে বলে আশংকা, ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের।
সাম্প্রতিক করোনা মহামারিতে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ রেঁস্তোরা। একই সময়ে মালিকানা ও ব্যবসার পরিবর্তন হয়েছে বাকি প্রায় ৫০ শতাংশের। আর গ্রাহক সংকটে অনেকেই এখন লোকসানী রেঁস্তোরা চালাচ্ছেন ধারদেনা করে। চলমান পরিস্থিতিতে হটকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।