রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতিতে রেকর্ড গড়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান
- আপডেট সময় : ০১:৫১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতিতে রেকর্ড গড়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান। এরই মধ্যে তদন্তে তার নানা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন- ইউজিসি। এরপরও উপাচার্যের পদ আঁকড়ে থাকায় তাকে অপসারণের দাবিতে সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরাও বলছেন, বিষয়টি দ্রুত সুরাহা না হলে নতুন করে সংকট তৈরি হতে পারে ক্যাম্পাসে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে দ্বিতীয় দফায় উপাচার্য হিসেবে পুণঃনিয়োগ পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় যোগ্যতা শিথিল করে মেয়ে ও জামাইকে চাকরি প্রদান, অবৈধভাবে উপাচার্যের বাসভবন দখলসহ অন্তত ২৫টি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে ইউজিসি। ইউজিসি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবার পরই গেল ১০ ডিসেম্বর এসব বিষয়ে ১১টি চিঠি দিয়ে উপাচার্যের কাছে কৈফিয়ত তলব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরপর একমাসের মাঝে সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হলেও এখনো উপাচার্যের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে উপাচার্যকে অপসারণে সাতদিনের সময় বেঁধে দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। দাবি পুরণ না হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এদিকে, উপাচার্যের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ। তাকে অপসারণে ব্যবস্থা নেয়া নাহলে নতুন করে সংকট তৈরি হতে পারে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে উপ-উপাচার্য জানিয়েছেন, ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগগুলো সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। উপাচার্য জবাব দিয়েছেন। অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরই রেজিস্ট্রার এমএ বারীকে অপসারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।