রাখি দাসের নির্যাতনে ক্ষত-বিক্ষত ১১ বছর বয়সী গৃহকর্মী
- আপডেট সময় : ০৭:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
ঢাকায় এক চিকিৎসকের স্ত্রীর নির্যাতনে ক্ষত-বিক্ষত ১১ বছর বয়সী এক শিশু গৃহকর্মীকে তার গ্রামের বাড়ির বরিশালের উজিরপুরে ফেলে আসার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। শিশুটি শারীরিক নির্যাতনের চেয়েও মানসিকভাবে বেশী আঘাতপ্রাপ্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনার বিচার দাবী করেছেন নির্যাতিতা শিশু ও তার পরিবার। শিশু নির্যাতনের ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৬ নম্বর বেডে শরীরের নানা ক্ষত নিয়ে কাতরাচ্ছিলো শিশু নিপা বাড়ৈ। মাথায়ও বড় ধরনের ক্ষত। চোখে মুখে তার ভয়াল ছাপ। তার অভিযোগ, গৃহকর্তী রাখি দাস নানা অজুহাতে তাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। কখনও গরম খুন্তির ছ্যাকা, কখনও ছুরির খোঁচা আবার কখনও দেয়ালে ঠোকা হতো তার মাথা। রাগের মধ্যে কখনও তার গলা চেপে স্বাসরোধ করার চেস্টা করতো চিকিৎসকের সেই স্ত্রী। নির্মম নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে লোক মারফত শিশুটিকে ঢাকা থেকে তার গ্রামের বাড়ির একটি দোকানের সামনে ফেলে চলে যায়।
স্বজনরা জানান, কখনও শিশুটির খোঁজ খবর জানতে চাইলে-সে ভালো আছে বলে জানানো হতো তাদের। বুধবার শিশুটিকে বাড়ির কাছে ফেলে যাওয়ার পর তার শরীরে ভয়াবহ নির্যাতনের ছাপ দেখেন তারা। এ ঘটনার বিচার দাবী করেন নিপা ও তার স্বজনরা।
উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক জানান,শিশুটির শরীরের ক্ষত একদিন সেরে যাবে। কিন্তু মানসিকভাবে সে বেশী আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
উজিরপুর থানার ওসি জানান, নির্যাতিত শিশু ফেলে যাওয়ার খবর পেয়ে তারা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিস্ট থানা পুলিশ।
ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালের অর্থপেডিক্স ও ট্রমা বিশেষজ্ঞ ডা. রবিনের শ্যামলীর বাসায় গত ৬ মাস আগে গৃহপরিচারিকার কাজ শুরু করে নিপা।তার মা ২ বছর আগে অন্যত্র বিয়ে করেছে। তার বাবা একজন মানসিক প্রতিবন্ধি।