০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ময়ূরী ও হাতিয়া নদীর খননের আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা ধংস হয়ে গেছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুই পাশে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। মাঝখানে পানি শূন্য উঁচু সমতল ভূমিতে শুকিয়ে পড়েছে কচুরিপনা, কোথাও কোথাও জন্মেছে সবুজ ঘাস ও লতা-পাতা। সুবিধাজনক স্থানে পথ বানিয়ে পারাপার হচ্ছেন জনসাধারণ। খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মাত্র তিন বছর আগে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ূরী ও হাতিয়া নদীর ১২ কিলোমিটার খনন হলেও বর্তমান চিত্র এটি। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী দু’টি খননের যে আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা ধংস হয়ে গেছে।

খুলনা মহানগরী পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ময়ূর নদী। ক্রমাগত দখল বাদ দিয়ে বর্জ্য ফেলার কারণে দূষিত হয়ে পড়েছে নদীটি। নগর অঞ্চলের প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদীর ১২ কিলোমিটার খাল খনন করা হলেও তিন বছরের মধ্যে ফের অস্তিত্ব সংকটে ময়ূর ও হাতিয়া নদী। আর রূপসা নদীর সাথে সংযোগ সুইচ গেট প্রায় বন্ধ থাকার কারণে, প্রবাহ থাকছে না এই নদীতে। যে কারণে সম্পূর্ণ কার্যকারিতা হারাতে বসেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ময়ূর নদীর দূষণ মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া খননকাজের অনিয়মের কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও কোনো সুফল মিলছে না।

ভরাট হওয়া নদী দু’টির পলি ও ময়লা অপসারণ করার কথা থাকলেও, ড্রেজারের মাধ্যমে শুধুমাত্র পানি অপসারণ করা হয়।এছাড়া খননে যা উঠানো হয়েছিলো, রোদ ও বৃষ্টিতে তা ফের নদীতে গিয়ে পড়েছে। ফলে দ্রতই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ময়ূর নদীর খনন কাজ এর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সিটি কর্পোরেশনসহ সংশিষ্ট সকলের সমন্বয়কে দুষলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজনের সম্পাদক। আর সিটি মেয়র বললেন, ময়ূর নদী যেভাবে কাটার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। কিছু দূর্নীতি হয়েছে। তবে তার সময়ে নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ময়ূরী নদীকে ঘিরে নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদী খননসহ প্রটেকশন ওয়াল, ওয়াকওয়ে, উন্মুক্ত স্থান ও ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। ময়ুর নদী খুলনার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পরিকল্পনার অভাবে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন কাজে আসছে না।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ময়ূরী ও হাতিয়া নদীর খননের আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা ধংস হয়ে গেছে

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

দুই পাশে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। মাঝখানে পানি শূন্য উঁচু সমতল ভূমিতে শুকিয়ে পড়েছে কচুরিপনা, কোথাও কোথাও জন্মেছে সবুজ ঘাস ও লতা-পাতা। সুবিধাজনক স্থানে পথ বানিয়ে পারাপার হচ্ছেন জনসাধারণ। খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মাত্র তিন বছর আগে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ূরী ও হাতিয়া নদীর ১২ কিলোমিটার খনন হলেও বর্তমান চিত্র এটি। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী দু’টি খননের যে আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা ধংস হয়ে গেছে।

খুলনা মহানগরী পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ময়ূর নদী। ক্রমাগত দখল বাদ দিয়ে বর্জ্য ফেলার কারণে দূষিত হয়ে পড়েছে নদীটি। নগর অঞ্চলের প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদীর ১২ কিলোমিটার খাল খনন করা হলেও তিন বছরের মধ্যে ফের অস্তিত্ব সংকটে ময়ূর ও হাতিয়া নদী। আর রূপসা নদীর সাথে সংযোগ সুইচ গেট প্রায় বন্ধ থাকার কারণে, প্রবাহ থাকছে না এই নদীতে। যে কারণে সম্পূর্ণ কার্যকারিতা হারাতে বসেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ময়ূর নদীর দূষণ মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া খননকাজের অনিয়মের কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও কোনো সুফল মিলছে না।

ভরাট হওয়া নদী দু’টির পলি ও ময়লা অপসারণ করার কথা থাকলেও, ড্রেজারের মাধ্যমে শুধুমাত্র পানি অপসারণ করা হয়।এছাড়া খননে যা উঠানো হয়েছিলো, রোদ ও বৃষ্টিতে তা ফের নদীতে গিয়ে পড়েছে। ফলে দ্রতই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ময়ূর নদীর খনন কাজ এর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সিটি কর্পোরেশনসহ সংশিষ্ট সকলের সমন্বয়কে দুষলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজনের সম্পাদক। আর সিটি মেয়র বললেন, ময়ূর নদী যেভাবে কাটার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। কিছু দূর্নীতি হয়েছে। তবে তার সময়ে নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ময়ূরী নদীকে ঘিরে নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদী খননসহ প্রটেকশন ওয়াল, ওয়াকওয়ে, উন্মুক্ত স্থান ও ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। ময়ুর নদী খুলনার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পরিকল্পনার অভাবে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন কাজে আসছে না।