০১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

অর্থসংকটে মুখ থুবরে পড়েছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অর্থসংকটে মুখ থুবরে পড়েছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ। দুই বছরেও রিভাইজ ডিপিপি অনুমোদন করেনি মন্ত্রনালয়।

ফলে ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ করে বসে আছে সিডিএ। বাকি কাজ শেষ না হওয়ায়, এবারও জলাবদ্ধতার ভয়াবহ রুপ দেখেছে নগরবাসী। শহরের ৪০ শতাংশ এলাকা পাঁচদিন ধরে পানির নিচে। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। সিডিএ বলছে, একসঙ্গে অর্থ না পেলে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কঠিন। নগরবিদরা বলছেন, নগরবাসীকে কোমর পানিতে রেখে প্রকল্পের টাকা নিয়ে দেনদরবার দু:খজনক।

জলাবদ্ধতার এমন অভিজ্ঞতা চট্টগ্রামবাসীর জন্য পুরনো। কিন্তু অন্য বছর জোয়ারের সময় বৃষ্টি হলে, জমে থাকা পানি ভাটায় নেমে গেলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। টানা ৫ দিন ধরে কোথাও কোমর পানি, আবার কোথাও বুক পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে নগরবাসী।

আগ্রাবাদের শান্তিবাগ এলাকার চিত্র এটি। সড়কে জাল ফেললেই মিলছে মাছ। কয়েকশো গজ দুরে জেলা পুলিশ লাইনের ভেতরে চলছে নৌকা। এমন চিত্র নগরজুড়ে। অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান চারটি প্রকল্পের মধ্যে দুটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, সব কটি প্রকল্প একসঙ্গে শেষ না হলে, সুফল নিয়ে বিচার করা কঠিন।

আর সিডিএ বলছে, অধিকাংশ প্রকল্পের বড় অংশটিই শেষ হয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় শেষ মুহুর্তে এসে সরকার অর্থের যোগান না দেয়ায়, মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রকল্পের কাজ। সুফল পেতে হলে সব টাকা দিতে হবে একসঙ্গে।

নগরবিদরা বলছেন, নগরবাসীকে পানিবন্দী রেখে প্রকল্পের টাকা আদায়ের চিন্তা না করে খাল খননের পাশাপাশি পাহাড় কাটা বন্ধ, নালা-নর্দমায় ময়লা ফেলার প্রবণতা রোধ করাসহ অনেকগুলো বিষয়ের ওপর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে সরকারকে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অর্থসংকটে মুখ থুবরে পড়েছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা

আপডেট সময় : ০৭:১১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

অর্থসংকটে মুখ থুবরে পড়েছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ। দুই বছরেও রিভাইজ ডিপিপি অনুমোদন করেনি মন্ত্রনালয়।

ফলে ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ করে বসে আছে সিডিএ। বাকি কাজ শেষ না হওয়ায়, এবারও জলাবদ্ধতার ভয়াবহ রুপ দেখেছে নগরবাসী। শহরের ৪০ শতাংশ এলাকা পাঁচদিন ধরে পানির নিচে। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। সিডিএ বলছে, একসঙ্গে অর্থ না পেলে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কঠিন। নগরবিদরা বলছেন, নগরবাসীকে কোমর পানিতে রেখে প্রকল্পের টাকা নিয়ে দেনদরবার দু:খজনক।

জলাবদ্ধতার এমন অভিজ্ঞতা চট্টগ্রামবাসীর জন্য পুরনো। কিন্তু অন্য বছর জোয়ারের সময় বৃষ্টি হলে, জমে থাকা পানি ভাটায় নেমে গেলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। টানা ৫ দিন ধরে কোথাও কোমর পানি, আবার কোথাও বুক পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে নগরবাসী।

আগ্রাবাদের শান্তিবাগ এলাকার চিত্র এটি। সড়কে জাল ফেললেই মিলছে মাছ। কয়েকশো গজ দুরে জেলা পুলিশ লাইনের ভেতরে চলছে নৌকা। এমন চিত্র নগরজুড়ে। অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান চারটি প্রকল্পের মধ্যে দুটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, সব কটি প্রকল্প একসঙ্গে শেষ না হলে, সুফল নিয়ে বিচার করা কঠিন।

আর সিডিএ বলছে, অধিকাংশ প্রকল্পের বড় অংশটিই শেষ হয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় শেষ মুহুর্তে এসে সরকার অর্থের যোগান না দেয়ায়, মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রকল্পের কাজ। সুফল পেতে হলে সব টাকা দিতে হবে একসঙ্গে।

নগরবিদরা বলছেন, নগরবাসীকে পানিবন্দী রেখে প্রকল্পের টাকা আদায়ের চিন্তা না করে খাল খননের পাশাপাশি পাহাড় কাটা বন্ধ, নালা-নর্দমায় ময়লা ফেলার প্রবণতা রোধ করাসহ অনেকগুলো বিষয়ের ওপর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে সরকারকে।