২৫ বছর পর ফের পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাস্টারপ্লান তৈরীর কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ। নতুন এই মহাপরিকল্পনায় একদিকে মীরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী অন্যদিকে হাটহাজারী পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে মহানগরীকে। নগরবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন আগের মাস্টারপ্লানকে লঙ্ঘন করার অভিযোগ রয়েছে খোদ সিডিএ’র বিরুদ্ধেই। তাই নতুন মাস্টারপ্লানের বাস্তবায়ন নিয়েও শঙ্কিত তারা।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে ১৫ বছর মেয়াদী একটি মহাপরিকল্পনা তৈরী করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ। সেই মাষ্টারপ্লানে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নগরীতে কোন উড়ালসড়কের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে উল্লেখ করা হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করে সিডিএ। দুটি বাইপাস সড়ক, একটি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি গেল ২৫ বছরে। তাই অতিত অভিজ্ঞতাকে আমলে নিয়ে নতুন মাস্টারপ্লান তৈরীর পরামর্শ নগরবিদদের।

সিডিএ বলছে, শহরের ওপর চাপ কমাতে নগর সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। তাই নতুন নগরীকে পরিকল্পিত করতেই মাস্টারপ্লানের প্রয়োজনীয়তা পড়েছে।যাতে অন্তর্ভুক্ত হবে নতুন-পুরনো সব অবকাঠামো। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, মাস্টারপ্লান তৈরীতে যতটা আগ্রহ দেখা যায়, তা বাস্তবায়নে ততটাই অনিহা দেখায় উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই নতুন প্রকল্প পাসের আগে মাস্টারপ্লান অনুসরণ বাধ্যতামুলক করা উচিত সরকারের।

চট্টগ্রাম মহানগরী ঘিরে প্রথম মাষ্টার প্লান তৈরী হয় ১৯৬১ সালে। ৩৪ বছর পর হয় দ্বিতীয় মহাপরিকল্পনা। কিন্তু বাস্তবায়নের ধারে কাছে যায়নি একটিও।এখন নতুন করে ২০ বছরে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে তৈরী করা হচ্ছে নতুন এই মাস্টারপ্লান।

২৫ বছর পর মাস্টারপ্লান তৈরীর কাজ শুরু চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের