মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার একমাত্র খালটি দখল আর দুষনে এখন মৃতপ্রায়। শহরের ভেতরে ছ’হাজার এক’শ পাঁচ মিটার দৈর্ঘের এই খালের দু’পাশ দিন দিন দখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালী মহল। বাসা-বাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবনের ময়লা আবর্জনা জমে হারাতে বসেছে খালটি। পানি প্রবাহিত না হওয়ায় দুর্ঘন্ধে হাটা দায় বলে অভিযোগ করেছে পৌরবাসী।

মানিকগঞ্জ শহরের খালটি সংস্কারের জন্য ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় দখলদারদের উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন। পরে, মানিকগঞ্জ পৌরসভা ছ’কোটি টাকা ব্যয়ে খালের দু’পার সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধাই হয়। দক্ষিণ পারে নির্মাণ করা হয় চার ফুট চওড়া ওয়াকওয়ে। ওয়াকওয়ের পাশে পথচারীদের বসার জন্য নির্মাণ করা হয় আরসিসি বেঞ্চ। বসানো হয় লাইট। কিন্তু কিছু দিন যেতেই কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারির অভাবে বাসা বাড়ীর আবর্জনার ভাগারে পরিণত হয়েছে। খালের পার দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে হোটেল। আববাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন মালিকরা তাদের মালামাল রেখে আটকে রেখেছে হাটার স্থান। ওয়াকওয়ের বেঞ্চ ও লাইট নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। জমে থাকা এই ময়লা চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তা ছাড়া খালের পানি প্রবাহমান না থাকায় খালের বদ্ধ পানিতে মশা বাসা বাঁধছে।

খালটি পর্ণ খনন ও সংষ্কারের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানালেনে পৌরসভার এই কর্মকর্তা।

পৌর নাগরিকদের দাবী শুধু আশ্বাসের বাণী নয়, শিগশিগই ফিরে আসুক মানিকগঞ্জ পৌরসভার খালটির সৌন্দয।