১২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ভারত নির্ভরতা কাটিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ করতে না পারলে বাংলাদেশে প্রতিবছরই পেঁয়াজ কেলেংকারী ঘটতে থাকবে। তাই ভারত-নির্ভরতা কাটিয়ে উৎপাদনের মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ কৃষি বিশেষজ্ঞদের। পেঁয়াজের মৌসুম পার হলেই ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বাজার জিম্মি করে কৌশলে দাম বাড়িয়ে বিপুল অর্থ লুটে নেয় বলে অভিযোগ তাদের। এদিকে, পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তির আওতায় নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মুঈদ। সেই সাথে শীতকালের পরে গ্রীষ্মকালেও পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

বছরে ৩০ লাখ টনের বিপরীতে ২৪ লাখ টন পেয়াজ উৎপাদন হয় দেশে। সংরক্ষণের অভাবে এখান থেকে নষ্ট হয় ৫ থেকে ৭ লাখ টন পেয়াজ।

দেশের চাহিদা মেটাতে বছরে আমদানী করতে হয় প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টন পেয়াজ। যার ৯০ শতাংশই ভারত নির্ভর।

বাংলাদেশে পেয়াজ সংরক্ষণের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে ভারত প্রতিবছর বর্ষায় হঠাৎ রফতানী বন্ধের ঘোষণা দিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে ফেলে এ দেশের ভোক্তাদের। আর জনগণের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় পেঁয়াজ সিন্ডিকেট।

পেঁয়াজ কেলেংকারী ঠেকাতে নিজস্ব উৎপাদন ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ফলে দাম পড়ে যাওয়ায় স্থানীয় চাষীরা লোকসানের কারণে উৎপাদন বাড়ায় না। আর কৃষি বিভাগের মতে, পেয়াজের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের হাতে উন্নত প্রযুক্তির সাথে লাভজনক দামও দিতে হবে।

শুধু শীতকালীন উৎপাদনে সীমাবদ্ধ না থেকে সংকট উত্তরণে গ্রীষ্ম মৌসুমেও পেঁয়াজ উৎপাদনের পরামর্শ তাদের। তবে ন্যায্য দাম না পেলে কৃষকেরা আগ্রহী হবে না উল্লেখ করে, এজন্য মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানীর এলসি খোলা নিষিদ্ধের পরামর্শ দেন তারা।

উৎপাদিত পেঁয়াজ যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য আট বিভাগে পেঁয়াজের কোল্ড ষ্টোরেজ বাড়াতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেবারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও পেয়াজ রপ্তানী সম্ভব বলে মনে করেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভারত নির্ভরতা কাটিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ করতে না পারলে বাংলাদেশে প্রতিবছরই পেঁয়াজ কেলেংকারী ঘটতে থাকবে। তাই ভারত-নির্ভরতা কাটিয়ে উৎপাদনের মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ কৃষি বিশেষজ্ঞদের। পেঁয়াজের মৌসুম পার হলেই ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বাজার জিম্মি করে কৌশলে দাম বাড়িয়ে বিপুল অর্থ লুটে নেয় বলে অভিযোগ তাদের। এদিকে, পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তির আওতায় নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মুঈদ। সেই সাথে শীতকালের পরে গ্রীষ্মকালেও পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

বছরে ৩০ লাখ টনের বিপরীতে ২৪ লাখ টন পেয়াজ উৎপাদন হয় দেশে। সংরক্ষণের অভাবে এখান থেকে নষ্ট হয় ৫ থেকে ৭ লাখ টন পেয়াজ।

দেশের চাহিদা মেটাতে বছরে আমদানী করতে হয় প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টন পেয়াজ। যার ৯০ শতাংশই ভারত নির্ভর।

বাংলাদেশে পেয়াজ সংরক্ষণের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে ভারত প্রতিবছর বর্ষায় হঠাৎ রফতানী বন্ধের ঘোষণা দিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে ফেলে এ দেশের ভোক্তাদের। আর জনগণের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় পেঁয়াজ সিন্ডিকেট।

পেঁয়াজ কেলেংকারী ঠেকাতে নিজস্ব উৎপাদন ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ফলে দাম পড়ে যাওয়ায় স্থানীয় চাষীরা লোকসানের কারণে উৎপাদন বাড়ায় না। আর কৃষি বিভাগের মতে, পেয়াজের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের হাতে উন্নত প্রযুক্তির সাথে লাভজনক দামও দিতে হবে।

শুধু শীতকালীন উৎপাদনে সীমাবদ্ধ না থেকে সংকট উত্তরণে গ্রীষ্ম মৌসুমেও পেঁয়াজ উৎপাদনের পরামর্শ তাদের। তবে ন্যায্য দাম না পেলে কৃষকেরা আগ্রহী হবে না উল্লেখ করে, এজন্য মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানীর এলসি খোলা নিষিদ্ধের পরামর্শ দেন তারা।

উৎপাদিত পেঁয়াজ যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য আট বিভাগে পেঁয়াজের কোল্ড ষ্টোরেজ বাড়াতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেবারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও পেয়াজ রপ্তানী সম্ভব বলে মনে করেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।