০৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বিপুল পরিমাণ চাল আমদানী হলেও গুদামগুলো ফাঁকা কেন ?

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাদ্য ঘাটতি মেটাতে সরকারী পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানী করা হলেও গুদামগুলো ফাঁকা। কারণ বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে যাওয়ার আগেই হাতবদল হয়ে যাচ্ছে চাল বোঝাই গাড়ি। সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি পাবলিক গুদাম থেকে আমদানী করা বিপুল পরিমান সরকারী চাল উদ্ধারের পর বেরিয়ে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের নজরদারির অভাবেই খাদ্যের মতো অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে কারসাজি করার সুযোগ পচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

সরকার নির্ধারিত দামে মিলাররা চাল দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় গেল বছরের ডিসেম্বরের শুরুতেই সরকারের স্বাভাবিক মজুদে টান পড়তে শুরু করে। এই বাস্তবতায় আমদানী করে ঘাটতি মেটানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। ২৪ ডিসেম্বর ভারত থেকে আমদানী করা চাল বোঝাই প্রথম জাহাজ ভেড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত শুধু চট্টগ্রাম বন্দরেই নোঙ্গর করেছে চাল বোঝাই ২৩ টি জাহাজ। পাইপলাইনে রয়েছে আরো কয়েকটি। এছাড়া বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়েও এসেছে বিপুল পরিমান চাল।

কিন্তু গুদামে চালের মজুদ নেমেছে ইতিহাসের সর্বনিন্ম পর্যায়ে। অন্যান্য বছরে এ সময় সরকারী খাদ্য গুদামগুলোতে কমপক্ষে ৭০ লাখ টনের বেশি চালের মজুদ থাকলেও এবার তা নেমেছে ৫ লাখের নিচে। কারণ বন্দর থেকে খালাস হওয়া চাল সরকারি গুদামের পরিবর্তে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের গুদামে।সাম্প্রতি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারের মাহী ট্রেডার্স নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ভারত থেকে আনা সরকারি চাল বস্তা পরিবর্তনের সময় উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সংকটময় সময়ে আমদানী করা চাল অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে যাওয়ায় হতবাক প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও।

আর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন তারা। আশ্বাস দেন দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে খাদ্য বিভাগ। জিভি ফুড অফিস ২ লাখ মেট্রিকটন চাল ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চট্টগ্রামের গুদামগুলোতে এখন মজুদ আছে ৩০ হাজার মেট্রিকটন। যা এককভাবে সারা দেশের মধ্যে বেশি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিপুল পরিমাণ চাল আমদানী হলেও গুদামগুলো ফাঁকা কেন ?

আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১

খাদ্য ঘাটতি মেটাতে সরকারী পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানী করা হলেও গুদামগুলো ফাঁকা। কারণ বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে যাওয়ার আগেই হাতবদল হয়ে যাচ্ছে চাল বোঝাই গাড়ি। সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি পাবলিক গুদাম থেকে আমদানী করা বিপুল পরিমান সরকারী চাল উদ্ধারের পর বেরিয়ে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের নজরদারির অভাবেই খাদ্যের মতো অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে কারসাজি করার সুযোগ পচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

সরকার নির্ধারিত দামে মিলাররা চাল দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় গেল বছরের ডিসেম্বরের শুরুতেই সরকারের স্বাভাবিক মজুদে টান পড়তে শুরু করে। এই বাস্তবতায় আমদানী করে ঘাটতি মেটানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। ২৪ ডিসেম্বর ভারত থেকে আমদানী করা চাল বোঝাই প্রথম জাহাজ ভেড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত শুধু চট্টগ্রাম বন্দরেই নোঙ্গর করেছে চাল বোঝাই ২৩ টি জাহাজ। পাইপলাইনে রয়েছে আরো কয়েকটি। এছাড়া বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়েও এসেছে বিপুল পরিমান চাল।

কিন্তু গুদামে চালের মজুদ নেমেছে ইতিহাসের সর্বনিন্ম পর্যায়ে। অন্যান্য বছরে এ সময় সরকারী খাদ্য গুদামগুলোতে কমপক্ষে ৭০ লাখ টনের বেশি চালের মজুদ থাকলেও এবার তা নেমেছে ৫ লাখের নিচে। কারণ বন্দর থেকে খালাস হওয়া চাল সরকারি গুদামের পরিবর্তে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের গুদামে।সাম্প্রতি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারের মাহী ট্রেডার্স নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ভারত থেকে আনা সরকারি চাল বস্তা পরিবর্তনের সময় উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সংকটময় সময়ে আমদানী করা চাল অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে যাওয়ায় হতবাক প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও।

আর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন তারা। আশ্বাস দেন দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে খাদ্য বিভাগ। জিভি ফুড অফিস ২ লাখ মেট্রিকটন চাল ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চট্টগ্রামের গুদামগুলোতে এখন মজুদ আছে ৩০ হাজার মেট্রিকটন। যা এককভাবে সারা দেশের মধ্যে বেশি।