বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে সারাদেশ আজ ধর্ষণের মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে করেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ। পাশাপাশি চলমান এই সংকট উত্তোরণে অপরাধীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিতের দাবীও জানান তিনি। আর বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফওজিয়া করিম ফিরোজের মতে অদক্ষ প্রসিকিউশন এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ার কারণেই ধর্ষণ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হচ্ছে না। এসব সমস্যা সমাধানে আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলেও মত দেন তিনি।

শিশু থেকে কিশোরী, ধর্ষকদের জৈবিক লালসা থেকে বাদ পড়েছে না কেউই।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ধর্ষিত হয়েছেন ৮শ ৮৯ জন। অর্থ্যাৎ গড়ে প্রতিদিন ধর্ষিত হয়েছে ৪ জন। এদের মাঝে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪১ জনকে।

উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতির নেপথ্য কারণ জানতেই কথা হয় আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। তারা বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয় এবং দৃষ্ট্রান্তমূলক সাজার অভাবেই বাড়ছে ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ।

সংকটময় এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরোণে করনীয় সম্পর্কেও পরামর্শ দেন তারা।

এদিকে দেশজুড়ে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেন আইনজীবীরা। এসময় ধর্ষকদের মুখোশ উন্মোচনের পাশাপাশি কঠোর সাজা নিশ্চিতের দাবী জানান আইনজীবী সমিতির সম্পাদক।

গণমাধ্যমের মাধ্যমে আলোচনা শেষ হলে ধর্ষনের মামলাগুলো গতি হারায়, এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের উপর আদালতের নজরদারি থাকা প্রয়োজন বলে মত দেন আইনজীবীরা।