বরিশালে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৭:২৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
বরিশালে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজশে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন কর্মকর্তারা এতে জড়িত বলে জানা গেছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলেও, মানসম্পন্ন না হওয়ায় এখন তা বুঝে নিচ্ছে না সিটি কর্পোরেশন। এদিকে, তীব্র পানিসঙ্কটে রয়েছে নগরবাসী।
২০০৯-১০ অর্থবছরে কীর্তনখোলা নদীর তীর ঘেঁষে বেলতলা ও রূপাতলীতে দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মানের দায়িত্ব নেয় বরিশাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। ২০১৬ সালের জুনে নির্মাণ কাজ শেষে, কীর্তনখোলার ভাঙ্গনে ৩৫ শতাংশ নদীতে চলে যাওয়ায় সক্ষমতা হারায় বেলতলার প্ল্যান্টটি। রূপাতলীর প্লান্টটিতে ৪৫০কেভি বিদ্যুতের সাব স্টেশনের জায়গায় বসানো হয় ২৫০ কেভি।
এ কারনে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্ল্যান্ট দুটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ দু’টি সচল থাকলে প্রতিদিন এক কোটি ৬০ লাখ লিটার পানি পরিশোধন করা যেতো। নগরবাসীর বাসা-বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্মিত ৯৯ কিলোমিটার সরবরাহ লাইনও অকেজো পড়ে আছে।
প্ল্যান্ট দু’টি সচল ও দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সুজন। ত্রুটিপূর্ণ স্থাপনা বুঝে নিয়ে দুর্নীতিবাজের খাতায় নাম লেখাতে চাননা, প্যানেল মেয়র। সংস্কারের মাধ্যমে প্ল্যান্ট দুটির ক্ষমতার ৭০ ভাগ ব্যবহার করা সম্ভব বলে জানান, জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী।
নগরীর দৈনিক পানির চাহিদা ছয় কোটি গ্যালন। সরবরাহ করা হয় মাত্র দুই কোটি ৭০ লাখ গ্যালন। সরবরাহ করা ওই পানিও নগরীর সব বাসিন্দারা পাচ্ছেনা। নগরীর প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকায় এখনও পানি সরবরাহ লাইন স্থাপিত হয়নি।